আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের লিফটে পা আটকে বিপত্তি আড়াই ঘণ্টা পর উদ্ধার ,গাফিলতি কার?
বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিং এর লিফটে পা আটকে গিয়ে বিপত্তি। বুধবার দুপুরে মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন মোল্লা নামে এক ব্যক্তি আলিপুরের জেলাশাসকের দফতরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের গিয়েছিলেন এক অফিসিয়াল কাজে। আর ওই বিল্ডিং এর ছয় তলায় যাওয়ার জন্য তিনি লিফটে ওঠেন। ছয় তালায় ওই লিফট থেকে নামার সময় সমস্ত শরীর লিফট থেকে বেরিয়ে গেলেও পা টা আটকে রায়।
লিফ্টের ভিতরে সাহাবুদ্দিন ছাড়াও আরও জনা দশেক মানুষ ছিলেন। তাঁরাও পাঁচ তলা এবং ছ’তলার মধ্যে লিফ্টটির ভিতরে আটকে যান। উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ডাকা হয় দমকলকেও। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে লিফ্টের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। লিফ্টের পাঁচ তলার দরজা দিয়ে বাইরে বার করে আনা হয় তাঁদের। এরও কিছু ক্ষণ পরে ছ’তলায় লিফ্টের রেলিং কেটে সাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে গিয়েছেন জেলাশাসক।
ওই লিফ্টের মধ্যেই আটকে ছিলেন টালিগঞ্জের যুবক কৃষ্ণকান্ত দাস। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘লিফ্ট ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের এক তলায় আসতেই লিফ্টে হুড়মুড় করে বেশ কয়েক জন উঠে যান। প্রত্যেক তলাতেই লিফ্ট দাঁড়াচ্ছিল। ছ’তলায় গিয়ে ওই ব্যক্তি বাইরে বেরোনোর সময় লিফ্টটি হঠাৎ নীচে নেমে যায়। তাঁর পা আটকে যায়। প্রাথমিক ভাবে অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাহায্য আসেনি। লিফ্টের আপৎকালীন বোতাম (ইমার্জেন্সি সুইচ) কাজ করছিল না। আমরা ওই ব্যক্তির পা তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। না হলে পা কেটে গিয়ে বড় বিপদ ঘটতে পারত।’’
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, লিফ্টটি অনেক দিনের পুরনো। ঠিকঠাক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। লিফ্টর মধ্যে কোনও ‘লিফ্টম্যান’ থাকেন না। ফলে একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েন। নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জেলাশাসকের দফতরের এলাকার মধ্যে হওয়া সত্বেও কিভাবে লিফটের রক্ষণাবেক্ষণ করা হলো না। এই বিপদটা এমন ভাবে ঘটেছিল যাতে বড় ধরনের কিছু হয়ে যেতে পারত। যদি বড় ধরনের কিছু হয়ে যেত তার জন্য দায়ী কাকে করা হতো? সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ধরনের গাফলতি কি মেনে নেওয়া যায়?
সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার।