‘উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজ়ড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজ়ড করা হয়েছে?’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই ও ইডির তদন্তে যাদের নিয়োগকে অবৈধ বলা হয়েছিল সেই রিপোর্টকে কিভাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মান্যতা দিল তা নিয়ে আজ প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীকে বলেন, কারা কিভাবে বেআইনি নিয়োগ পেলেন তা আপনারা জানলেন কি করে?
এরপরেই দুপুর দুটো পর পরবর্তী শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার তদন্তে সিবিআই এবং ইডির আধিকারিকদের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করার ।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে বিচারপতি সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজ়ড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজ়ড করা হয়েছে? তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
অন্য দিকে, ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের অগ্রগতি কী, তা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছেন বিচারপতি সিনহা।
আসল উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) নেই। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এবং সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট কী ভাবে যাচাই করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? বৃহস্পতিবার প্রাথমিক নিয়োগের মামলায় সেই প্রশ্নই তুলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। তাঁর জিজ্ঞাসা, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’