মালদহে দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করার অভিযোগে রাজ্যের মুখ্য সচিব, ডিজিপি এবং পুলিশ সুপারকে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
বাংলার জনরব ডেস্ক : মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় এবার রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজ্য পুলিশের ডিজিপি এবং মালদা পুলিশ সুপারকে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
চিঠি পাওয়ার পর ছ’সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ওই চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছে কেন ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না? চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরই বা কি হল ?
উল্লেখ্য,গত ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন পেশায় আইনজীবী উজ্জ্বল দত্ত ও বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মালদহের পুলিশ সুপারকে শোকজ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে।
অভিযোগকারী উজ্জ্বল দত্ত । বলেন, ‘‘একদম সঠিক ভাবেই তারা জানতে চেয়েছে যে, বামনগোলা থানার আইসি, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির যে সমস্ত পুলিশকর্মী দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর অভিযোগ দায়ের হরেছে। পুলিশ এমন ভাব করছে যেন, মহিলা দু’জনই দোষী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সঠিক ভাবেই জানতে চেয়েছে যে, চার পুলিশকে ক্লোজ় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?’’ তিনি জানান, মানবাধিকার কমিশন মনে করছে, পুলিশ সুপার কোনও কিছু ঢাকার চেষ্টা করছেন। কী চাপতে চাইছেন, তা জানাতে হবে মানবাধিকার কমিশনকে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, নিগৃহীতাদের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁদের ৩ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখানে টাকাটা বড় কথা নয়। ওঁদের যে সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়েছে, তা টাকা দিয়ে পূরণ করা যায় না। কিন্তু ওঁরা আর্থিক সহায়তা পেলে খুশি হব।’’
তবে এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কে কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে মনিপুর সহ বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে মানবাধিকার ও হরন হলেও সে ক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিরব কেন?