দেশ 

জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লি সরকারের হাতেই থাকবে সব প্রশাসনিক ক্ষমতা,লেফটেন্যান্ট গভর্নর সরকারকে পরামর্শ দিতে পারেন মাত্র, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার কোন সিদ্ধান্ত নিলে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভূমিকা ছিল। এর ফলে দিল্লিতে ক্ষমতার ভরকেন্দ্র কার দিকে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী নাকি লেফটেন্যান্ট গভর্নর তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয়। সেই সাংবিধানিক বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লি সরকার আসলে ক্ষমতার আসল উৎস। এই সরকার সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা ভোগ করবে।

বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিচারপরেরতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিত বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। আদালতের তরফে জানানো হয়, ‘জনগণের ইচ্ছা’কে বাস্তবায়িত করার জন্যই নির্বাচিত করা হয় একটা সরকারকে। তাই প্রশাসনিক সমস্ত কাজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। পক্ষান্তরে সরকারের নির্দেশ মেনে চলবেন উপরাজ্যপাল। প্রধান বিচারপতি রায়টি পড়ে শোনানোর সময় বলেন, “যদি আধিকারিকেরা মন্ত্রীদের কাজে তাঁদের কাজের ব্যাখ্যা না দেন, তবে তো যৌথ দায়িত্বের যে নীতি, তা-ই লঙ্ঘিত হবে।”

Advertisement

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ক্ষমতার রাশ নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকবে, নাকি উপরাজ্যপালের মাধ্যমে শেষ কথা বলবে কেন্দ্রই, তা নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। অন্যান্য রাজ্য সরকারগুলি সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পেলেও, দিল্লি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হয় না। সাম্প্রতিক কালে দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনার একাধিক বিষয়ে মতান্তর হয়েছে। উপরাজ্যপালের মাধ্যমে সরকারের কাজে নাক গলানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। গত ১৮ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল। সে সময় প্রায় সাড়ে চার দিন ধরে সওয়াল-জবাব পর্ব চলে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ