দেশ 

মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সমগ্র রাজ্য জুড়ে আন্দোলন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক :  মণিপুরে হাইকোর্টের এক নির্দেশকে সামনে রেখে তীব্র আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠলো সমগ্র মনিপুর। উত্তর পূর্বের এই রাজ্যটি এই মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয়েছে সেনা রাজ্যের আট জেলায় জারি করা হয়েছে এমনকি ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মণিপুর প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় রাজধানী ইম্ফল, চূড়াচাঁদপুর এবং কাংপোকপিতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং হিংসার ঘটনা রুখতে রাতেই পথে নামানো হয় আধা সেনা এবং অসম রাইফেলসের আধিকারিকদের। সরকারি ভবনগুলিকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু হওয়ার পরেই প্রায় ৪ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে সেনা শিবিরে আনা হয়েছে। এই হিংসার ঘটনা নিয়ে বক্সার মেরি কম টুইট করে লিখেছেন, “আমার রাজ্য জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।”

Advertisement

মণিপুরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বনাঞ্চল এবং জলাভূমির উপর জনজাতি মানুষদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে আন্দোলন চলছিলই। রাজ্য প্রশাসনের অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের জনজাতি ছাত্র ইউনিয়ন (এটিএসইউএম)। সম্প্রতি সে রাজ্যের মেইতেই সম্প্রদায় তাদের তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবি তুলেছে। কিন্তু রাজ্যের তফশিলি সম্প্রদায়গুলি একযোগে তার বিরোধিতা করছে। সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের এই দাবিটি বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।

মণিপুরে প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তফসিলি জাতির তকমা না থাকায় সে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতি পায় না তারা। মেইতেইদের অভিযোগ, মায়নমার এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রাজ্যে ঢোকার ফলে তাদের অধিকার খর্ব হচ্ছে। মেইতেইদের দাবির বিরোধিতা করছে অন্য তফসিলি সম্প্রদায়গুলি।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ