বাংলাদেশ গণহত্যাকে জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দেওয়ার আহ্বান
বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাক-হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা সং গঠিত করেছিল তাকে অবিলম্বে জাতিসঙ্ঘকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে।আর এই ব্যাপরে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।বুধবার প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্লিম সোসাইটি ও সাউথ এশিয়ান পিপলস ইউনিয়ন এগেনেস্ট ফাণ্ডামেন্টালিজম অ্যাণ্ড কমিউন্যালিজম আয়োজিত ” বাংলাদেশের গণহত্যার স্বীকৃতি” শীর্ষক সেমিনারে এই আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী ও তথ্যচিত্র পরিচালক শাহরিয়ার কবীর।তিনি বলেন , বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ভারত ছিল দুর্দিনের বন্ধু।এক কোটির বেশি শরণার্থীকে তারা ঠাই দিয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনী অংশ নিয়ে আমাদের বিজয়কে হাসিল করেছে খুব তাড়াতাড়ি ।সে সময় চীন-আমেরিকান লবি খুব গদ্দারের ভূমিকা পালন করে।এখনো করছে।কিন্তু পাকিস্তানের মুক্তমনা বুদ্ধিজীবী , শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী-সাংবাদিক একটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। আমাদের দাবি যতদিন না পাকিস্তান এই গণহত্যা দিবসের জন্য ক্ষমা না চাইবে , এমনকি ৩০ লাখ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ না দেবে ততদিন তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক হয়।
এদিকে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন , ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস।এটাকে এখনো আমরা জাতিসঙ্ঘের স্বীকৃতি আদা য় করতে পারিনি।চলচ্চিত্রর মাধ্যমে এটিকে ব্যাপক প্রচার করতে হবে।আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আশায় কিছু মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দেশ খড় বাধা দিচ্ছে।তবে আমাদের প্রচার আরো বেশি করতে হবে।এদিন বাংলাদেশগণহত্যা নিয়ে শাহরিয়ার কবীরের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।বক্তব্য বলেন অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ ও উৎপলা মিশ্র।