কলকাতা 

Calcutta High Court : ‘কে বা কারা অশান্তিতে উস্কানি দিয়েছে বা লাভবান হয়েছে তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন’ রামনবমীতে অশান্তি নিয়ে শুভেন্দুর দায়ের করা মামলায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : রামনবমী কে কেন্দ্র করে পশ্চিমবাংলার দু তিনটি জায়গায় অশান্তি হয়েছে তা নিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্ট অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে। এমনকি কেন্দ্রীয় এজেন্সি কে দিয়ে করানো যায় কিনা তা নিয়ে সংকেত দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রামনবমীর অশান্তি (Ram Navami Violence) নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দায়ের করা জনস্বার্থ (PIL) মামলার শুনানি শেষ হয় সোমবার। তবে রায়দান স্থগিত রাখল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) টি এস শিবজ্ঞানম।

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ,’কে বা কারা অশান্তিতে উস্কানি দিয়েছে বা লাভবান হয়েছে তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন’। এতেই শেষ নয়। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, পুলিশি রিপোর্টে স্পষ্ট যে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। বছরের পর বছর একই ঘটনা ঘটছে, কীভাবে আটকানো সম্ভব?’ তাঁর মতে, ‘বাইরে থেকে আক্রমণ-অধিগ্রহণের চেষ্টা হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয়। মিছিলে অশান্তি হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয় না। বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, অশান্তির ঘটনা মানুষকে উদ্বিগ্ন করে।’

হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট নিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ ব্যক্ত করে বলেন, ‘সিপি রিপোর্টে বলছেন, মিছিলের অনুমতি ছিল না। কিন্তু অনুমতি সংক্রান্ত সব নথিপত্র দেখতে পাচ্ছি। এতেই তদন্তের গতি প্রকৃতি স্পষ্ট।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘রিপোর্ট লেখা আছে মারাত্মক অস্ত্র। কী এই মারাত্মক অস্ত্র?’ রাজ্য জানিয়েছিল, হকি স্টিক, তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছে। ‘এই ধরনের গন্ডগোল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে’, এর পরই পর্যবেক্ষণ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। সঙ্গে আরও প্রশ্ন, ‘আদালতের আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু?’ একই সঙ্গে হনুমানজয়ন্তীর মিছিলের প্রসঙ্গও আসে। রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ওই মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। বলা হয়, হুগলি গ্রামীণে একটি শোভাযাত্রায় রুট সংক্রান্ত নির্দেশিকা সামান্য অমান্য করেছে। বাকি কোথাও কোনও অশান্তি হয়নি। ৩ কোম্পানি সিআরপিএফ মোতায়েন ছিল।

হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার এনআইএ তদন্তও দাবি করেন শুভেন্দু । অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি। সেই সময়ই বলেছিলেন, ‘দিদি তথাকথিত ধর্নার মঞ্চ থেকে পরশুদিন, রামনবমীর অনুষ্ঠানকে, তার শোভাযাত্রাকে , রামনবমী পালনকে সকলের সামনে ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছিলেন। আপনাদের জেনে রাখা দরকার রামনবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। গত দু-তিন মাস ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এবং অসংখ্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার সংগঠনগুলি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই রামনবমীর অনুষ্ঠান, কোভিড পরবর্তী সময়ে, যেহেতু সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, বিপুল উৎসাহ , উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ