কলকাতা 

সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারও শাসকদলের হাতে আজ আক্রান্ত সম্মিলিতভাবে সংবিধান বাঁচানোর লড়াই করতে হবে : বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : শাসকদল যখন দেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্রকে ভুলুন্ঠিত করতে চাইছে, তখন আমাদের কর্তব্য হল সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। কলকাতায় আজ ২৬ শে নভেম্বর শনিবার ভারতসভা হলে অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের এক সভায় এই আহ্বান জানালেন দলের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক মহঃ নওসাদ সিদ্দিকী। সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই সভায় তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই পঁচাত্তর বছরে আমরা খুবই উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি শাসক দল বারবার সংবিধানের মান-মর্যাদা ও নীতিকে পদদলিত করছে। বৃটিশ ঔপনিবেশিকতার দুশো বছরের শাসন থেকে দেশকে স্বাধীন করতে অগুন্তি মানুষের ত্যাগ, তিতিক্ষা, সংগ্রাম, মৃত্যুবরণ ঘটেছে।

স্বাধীন দেশকে পরিচালিত করতে বাবাসাহেব বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বে খসড়া কমিটি সংবিধান রচনা করেছিলেন। সংবিধান কার্যকর হয়েছিল ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছিল ভারত একটি সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্র। এই দেশের নাগরিকরা সামাজিক, আর্থিক ও ন্যায় বিচার পাবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আজ দেশ যারা শাসন করছে তারা জাতপাত, ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক, কৃষক সহ দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সহ পিছড়ে বর্গের মানুষকে প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার থেকে শাসক দল বঞ্চিত করে চলেছে।

Advertisement

এমনকি, সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারও আজ আক্রান্ত। এই প্রসঙ্গে নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, এই পরিস্থিতিতে চেতনা বাড়াতে সংবিধানকে মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাঁর অভিমত, স্কুল পাঠ্যক্রমে সংবিধানকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব যেমন মৌলিক অধিকারকে রক্ষা করা, অনদিকে, নাগরিকেরও কর্তব্য সংবিবানের মৌলিক কর্তব্যগুলিকে যথাযথ পালন করা। তাই সহজ ভাষায় সংবিধানের মৌলিক দিকগুলি তুলে ধরার কাজ আরম্ভ করা ভীষণ জরুরী। এই বিষয়ে আইএসএফ প্রাথমিকভাবে কিছু উদ্যোগ নেবে।

বিশিষ্ট সমাজকর্মী গবেষক প্রসেনজিত বসু সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসীদের ব্যাপক অংশের মানুষের ঐক্য গড়ে তুলে প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরিতে আইএসএফকে নেতৃত্ব দেবার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আইএসএফ-এর রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক, রাজ্য কমিটির সদস্য লক্ষীকান্ত হাঁসদা, তাপস ব্যানার্জি, গাজী সাহাবুদ্দিন সিরাজী, আবদুল মালেক,শাহজাহান লস্কর, কুতুবুদ্দিন ফাতেহী, টিইউসিসি’র রাজ্য সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ভাষণ দেন। সভা পরিচালনা করেন আইএসএফের কার্যালয় সম্পাদক নাসিরুদ্দিন মীর।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ