Manik Bhattacharya: মানিকের বাড়ি থেকে প্রাপ্ত চার হাজার টেট প্রার্থীর নামের মধ্যে চাকরি পেয়েছে আড়াই হাজার! শিক্ষক প্রশিক্ষণেও হবু শিক্ষকদের কাছ থেকে দক্ষিণা নিতেন মানিক, আদালতে দাঁড়িয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির ! কোন পথে তদন্ত? জানতে হলে ক্লিক করুন
বাংলার জনরব ডেস্ক : স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য অনলাইনের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তির ব্যবস্থা করা হলেও এই নিয়ম পাল্টে দিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি মাথাপিছু পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রায় ৬০০ জন প্রার্থীকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দিয়ে অফলাইনে ডিএলএড প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তি করেছিলেন বলে আদালতে তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে ইডির আইনজীবীরা। মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এইরকম তথ্য প্রমাণ পেশ করার পর দুর্নীতি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আদালতের কাছে ইডির আইনজীবীরা মানিকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েক দফা তথ্য পেশ করেছে। তার মধ্যেই রয়েছে এই তথ্যটিও। একই সঙ্গে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত আনুমানিক ১০ কোটি টাকার হদিস মিলেছে বলেও আদালতকে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার ইডির তরফে আদালতে হাজির ছিলেন দুই আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি এবং ভাস্কর প্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরাই মানিকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে হবু প্রাথমিক শিক্ষকেদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ইডির তরফে আইনজীবীরা জানান, প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার ডিএলএড প্রশিক্ষণে অনলাইনে ভর্তি হতে না পারলে অফলাইনে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। রাজ্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কম করে ৬০০টি কলেজ রয়েছে। অফলাইনে ভর্তি হওয়ার আবেদন পিছু ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে ৫০০০ টাকা করে নিতেন মানিক। আর এই অফলাইনে ভর্তির জন্যই টাকা দিতে হত মানিককে। ইডি জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য মানিককে এই টাকা দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
এদিন ইডির আইনজীবীরা আদালতে বলেন, এই মামলার যত ভেতরে ঢোকা হচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য সংযোজিত হচ্ছে। এতদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির তদন্ত চলছিল এবার এই দুর্নীতির নেপথ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলির যে ভূমিকা রয়েছে, তা নিয়েও নতুন করে তথ্য সামনে এলো। আদালতে এদিন ইডির আইনজীবীরা বলেন, প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে আর এর নেপথ্যে রয়েছে কোটি কোটি টাকার প্রশ্ন একই সঙ্গে বড় অংকের টাকার হদিশও পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মানিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিডিতে প্রায় ৪ হাজার টেট প্রার্থীর নাম এবং রোল নম্বর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গও টেনে ইডি আদালতকে জানিয়েছে, ওই ৪ হাজার প্রার্থীর মধ্যে ২ হাজার পাঁচশো জনই চাকরি পেয়েছিলেন টেটে। এ ব্যাপারে পর্ষদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছিল ইডি। তাদের থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখেই এই পরিসংখ্যান পেয়েছে তারা।