কলকাতা 

‘মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে জাতির জনক বা জাতির পিতা হিসাবে আমি বা আমরা মানি না’: চন্দ্রচূড় গোস্বামী

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এবছর দুর্গাপুজো এবং মহাত্মা গান্ধীর ১৫৩ তম জন্মদিবস একইসঙ্গে পালিত হচ্ছে। দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ছিল এই দিন বাঙালির অন্যতম প্রথম সারির উৎসব দুর্গাপুজোর মহা সপ্তমী ছিল। স্বাভাবিকভাবে উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি সমাজ হঠাৎ ছন্দপতন দেখা গেল কলকাতার রুবি পার্কের দুর্গাপুজো যেটা আয়োজন করেছিল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা সেই পুজোর মহিষাসুরমূর্তিতে মহাত্মা গান্ধীর আদলে নির্মিত হয়েছে বলে অভিযোগ। টাক মাথা চোখে চশমা খালি গা সাদা ধুতি পরিহিত এই অসুর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে দ্রুত মানুষের নজরে পড়ে যায় তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীকে অসুররূপে দেখানো হয়েছে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন কসবা থানার পুলিশ ছুটে যান রুবি পার্কের দুর্গাপুজো মন্ডপে। অসুরের রূপ পরিবর্তন করে দেয়া হয়। এখানে পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল কিন্তু দেখা গেল অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর মনে কোন দুঃখ নেই বরং তিনি জোরালো কন্ঠে দাবি করেন মহাত্মা গান্ধীকে তারা জাতির জনক বলে মনে করেন না।

চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘‘গান্ধীর মূর্তির সঙ্গে অসুরের মিল আছে। তবে গান্ধীকে অসুর দেখানো হয়নি। মিলটা নিতান্তই কাকতালীয়।’’ তিনি আরো বলেন, ‘‘আবার এটাও অস্বীকার করছি না, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে জাতির জনক বা জাতির পিতা হিসাবে আমি বা আমরা মানি না। আমরা নেতাজীকে শ্রদ্ধা করি। আমি গত কাল চ্যালেঞ্জও করেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি গান্ধীর অনুপ্রেরণায় আট বছর চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এটা অবিশ্বাস্য।’’

Advertisement

নিজের মতের স্বপক্ষে চন্দ্রচূড়ের দাবি, ‘‘গান্ধীর নাম জড়িয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পরিচয় পুলিশের সামনে এনে দেওয়া, কংগ্রেস থেকে নেতাজীকে বিতাড়িত করার ক্ষেত্রে। ভগৎ সিংহের ফাঁসির ক্ষেত্রেও গান্ধীর অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ভূমিকা রয়েছে। তিনি জাতির জনক কেন হতে যাবেন? যে দেশের ৩০-৪০ হাজার বছরের ঐতিহ্য। যে মাটিতে রামকৃষ্ণ, রামচন্দ্র, কৃষ্ণ, চৈতন্যদেব জন্মগ্রহণ করেছেন তার জনক গান্ধী কেন? এটা আমরা স্পষ্ট ভাবে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছি। কোনও এক জন টাকমাথা লোক, চোখে চশমা থাকলেই তিনি গান্ধী হয়ে গেলেন? তাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক? অথচ ৯৯.৯৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন আপনারা খুব ভাল কাজ করেছন। আমরা নেতাজি-প্রেমী। আমরা গান্ধীকে ঘৃণা করি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি এ সবে ভয় পাই না। আমরা মূর্তি বদল করিনি। পুলিশ এসে কুমোর এনে ওই মূর্তিতে গোঁফ লাগিয়েছে। আমাদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও এই পরিবর্তন করা হয়েছে।’’


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ