দেশ 

সাফুরা জারগারকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকা নিষিদ্ধ করলো কর্তৃপক্ষ, নেপথ্যে রহস্য কী? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : সিএএ আন্দোলনের অন্যতম মুখ সাফুরা জারগারকে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকা নিষিদ্ধ করলো কর্তৃপক্ষ।

লিখিত এক নির্দেশ নামায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাফুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন, তাই এই সিদ্ধান্ত। ক’দিন আগেই তাঁর এমফিলে ভর্তিও বাতিল করা হয়েছিল।

Advertisement

সাফুরার এমফিলে ভর্তি বাতিলের প্রতিবাদে জামিয়া মিলিয়ার বহু পড়ুয়া প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই কারণ দর্শানোর নোটিস পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগস্ট সাফুরার এমফিলে ভর্তি বাতিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে বলা হয়, সাফুরা এমফিলের ডিসার্টেশন জমা দেননি। তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। তাতে যোগ দিয়েছিলেন সাফুরা নিজেও। যাকে ভাল চোখে দেখেননি জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষ।

লিখিত নির্দেশে বলা হয়েছে, সাফুরার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজিত হয়েছিল, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবিরুদ্ধ। সাফুরা সাধারণ পড়ুয়াদের প্ররোচিত করে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সাফুরার মত একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও মানবতাবাদী নেত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিক কাজ করেনি বলে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে। জামিয়া মিলিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় সফুরার মত একজন সমাজ কর্মী এমফিল করার সুযোগ পাচ্ছে না এটা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।

সাফুরা জারগার সিএএ আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হিসাবে ভারতীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সেই কারণেই তাকে দেখা যায় ২০২০ সালের এপ্রিলে দিল্লি দাঙ্গার জন্য অভিযুক্ত করে তাকে জেলে পোরা হয়েছিল। বেশ কয়েক মাস জেলে থাকার পর মানবিকতার কারণ দেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ এইসব কারণেই সাফুরাকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ