জেলা 

আনিস খানের ভাই আক্রান্ত হওয়ায় হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যজুড়ে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা পুলিশের একাংশের?

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। কাজের চেয়ে অকাজ করছে বেশী বলে অভিযোগ উঠেছে। যেমন দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমন খানকে শনিবার রাত ১টা নাগাদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে একাধিক কোপ মারা হয় তাঁকে। প্রশ্ন উঠেছে আনিস খান মামলার অন্যতম সাক্ষীর কেনো নিরাপত্তা দেয়নি পুলিশ।

এই ঘটনার পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও কেন পুলিশ সক্রিয় হলো না। আনিসের বাড়ীতে নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকলেও কেনো সলমনের বাড়িতে গেলো না। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে আনিসের ভাইকে আক্রমণ করার পর আমতা থানায় খবর দেওয়া হয়, পুলিশ কয়েক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কেন পুলিশ খবর পাওয়ার পর গেলো না? একথা বলতে দ্বিধা নেই হাওড়া গ্রামীণ মিথ্যা মামলায় অনেক যুবক জেলে পুরেছে। এমনকি মূল অভিযুক্ত না পেয়ে তার ভাই এবং অন্য আত্মীয় স্বজনদের জেলে পুরেছে। অথচ, আনিস খানের মত হেভিওয়েট মামলার অন্যতম সাক্ষী আক্রান্ত হওয়ার অনেক পরে পুলিশ যাচ্ছে। এটা করে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভাবমূর্তিকে জন মানসে নষ্ট করার জন্য হাওড়া পুলিশের একাংশ এই ধরণর কাজকরেছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ।

আনিসের খুড়তুতো ভাই সলমন। আনিস হত্যাকাণ্ডে অন্যতম সাক্ষীও সলমন। সূত্রের খবর, আনিসের মামলা নিয়ে সব সময়ই সক্রিয় থাকতেন সলমন। সাবির জানিয়েছেন, সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই এই হামলা চালানো হয়।

সাবিরের বক্তব্য, শুক্রবার রাতে সলমনের বাড়িতে ঢুকে পড়ে একদল দুষ্কৃতী। রাতের অন্ধকারে তাঁর ওপর টাঙি দিয়ে আক্রমণ করা হয় বলেও অভিযোগ। মাথার পিছনের দিকে একাধিক অস্ত্রের কোপ মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান তিনি। স্ত্রী এসে সবাইকে ডাকাডাকি করেন। পরে সলমনকে আক্রান্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।

সাবির আরও জানিয়েছেন, যারা সলমনের উপর হামলা চালিয়েছে, তাদের সবাইকেই চেনা গিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করার সময় তাদের সকলের পরিচয় দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সলমনের পরিবারের অভিযোগ, আনিস হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী হওয়ায় সলমনকে আগেও হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। এই নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছিল। সলমনের ওপর আক্রমণের পর আবার একবার সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে সরব হয়েছে আনিসের পরিবার।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় আনিস খানের। আনিসের মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি খুন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। আঙুল ওঠে পুলিশের দিকেও।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ