দেশ 

Modi-Mamata: আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে দিল্লীতে মোদী- মমতার একান্তে বৈঠক !

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে মোদি মমতা বৈঠক হতে চলেছে। ৬ আগষ্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরের দিন ৭ আগষ্ট নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লি আসার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজনৈতিক সূত্রে এই সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে পারেন মমতা বলে সূত্রের খবর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে দিল্লি আসছেন তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ৬ তারিখের মধ্যেই তাঁর দিল্লি পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে মমতার পৃথক বৈঠক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু তিনি বৈঠকে যোগ দিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর।

Advertisement

গত বছর এই পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা যোগ দেননি। তার আগে ২০১৯-এ শেষ বার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের মুখোমুখি বৈঠকও মমতা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, নীতি আয়োগের এই বৈঠকে কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, এ বার যদি মমতা আসেন, তা হলে তাঁর আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে মে মাসে বিচারবিভাগ নিয়ে সম্মেলনে নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে একটি চা-চক্রে মিলিত হয়েছিলেন মোদী ও মমতা। আর গত বছর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, পার্থ-কাণ্ড এবং তাতে ইডি-র ভূমিকা নিয়ে যখন পশ্চিমবঙ্গ উত্তাল, তখন আসন্ন মোদী এবং মমতা সাক্ষাৎ হলে তা ভিন্ন তাৎপর্য পাবে। তৃণমূল নেত্রী গত কাল বলেছেন, ‘‘বিচারে আইন যা রায় দেবে, আমাদের দল মেনে নেবে। বিচারে যত চরমই শাস্তি হোক, আমরা কোনও হস্তক্ষেপ করব না। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও আই ডোন্ট মাইন্ড!’’ প্রসঙ্গত, এর আগে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানো নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে এবং রাজ্যেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। পার্থ-কাণ্ডের পরে চলতি বাদল অধিবেশনে যদিও ইডি-সিবিআই নিয়ে এখনও পর্যন্ত রা কাড়তে দেখা যায়নি তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদদের। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লির রাজনৈতিক মহলে ঔৎসুক্য তৈরি হয়েছে মোদী এবং মমতার আসন্ন সাক্ষাৎ নিয়ে।

মমতার সম্ভাব্য দিল্লি সফরের সময় কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কে বেশ কিছু দিক রাজনৈতিক চর্চার মধ্যে রয়েছে। জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে কে রাজ্যপাল হবেন (অস্থায়ী ভাবে দায়িত্বে লা গণেশন) সেই তাস এখনও দেখায়নি কেন্দ্র। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে সমর্থন করেননি মমতা। এখনও পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছে তাঁর দল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নীতি আয়োগের বৈঠকের আগের দিন অর্থাৎ ৬ তারিখই উপরাষ্ট্রপতি ভোট। ওই দিনই ফলাফল প্রকাশ।

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ