কলকাতা 

“মজা করে পড়বো,হাতে-কলমে করে দেখবো” : স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির উদ্যোগে নবম এবং সপ্তম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রসায়ন কর্মশালা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নায়ীমুল হকের প্রতিবেদন: স্কুল পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের কাছে পড়াশোনা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পড়াশোনার পাশাপাশি বছরভর নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমি। ছাত্র স্বার্থে এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সম্মত হয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

গতকাল শনিবার ছিল বিজ্ঞান শাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- কেমিস্ট্রি বা রসায়ন এর ওপর কর্মশালা।

Advertisement

সাধারণত রাজ্যের মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন পড়তে হয়। ফলে রসায়নের পৃথক সত্তা সম্পর্কে ক্লাস ইলেভেন-এর আগে তাদের খুব একটা সচেতনতা গড়ে ওঠে না। ফলে মাধ্যমিকের পর বিজ্ঞান নিয়ে যারা পড়তে যায়, তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয় রসায়ন একটি নতুন বিষয়, কিন্তু আদতে তা নয়। এই কথা মাথায় রেখে ক্লাস নাইন এবং সেভেনের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এদিন কলকাতার নিউটাউনে স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় এই কর্মশালা। যার নাম দেওয়া হয়- মজা করে পড়বো, হাতে-কলমে করে দেখবো।

রসায়নের নানা রকম মজার বিক্রিয়া এবং তার প্রভাব কেমন হয় এবং কী করে তা ঘটে সমস্ত কিছু বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয় এই কর্মশালায়।

দুটি রাসায়নিক বস্তু মিশিয়ে তৈরি করা হয় একটি রং, কিন্তু কী আশ্চর্য! ধীরে ধীরে এই রং ফিকে হতে থাকে এবং তা বিলীন হয়ে যায়। এ ধরনের রং কে বলা হয় বিলীয়মান রং। অ্যামোনিয়া এবং ফেনলফথ্যালিন মিশিয়ে তৈরি হয় গোলাপি লালের আভা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই এই রং বিলীন হয়। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়, এটা আর কিছু নয়, অ্যামোনিয়া বাষ্পীভূত হয়,আর যার কারণেই রংয়ের এই উবে যাওয়া।

 

এছাড়াও এদিন ইলেকট্রোলাইসিস বা তড়িৎ বিশ্লেষণ পদ্ধতির ব্যবহার করে খাদ্য লবণের উপর পরিবাহী তার দিয়ে কীভাবে রঙিন লেখা হয়, তাও হাতে-কলমে করে দেখানো হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। এছাড়াও ক্ষার ও ক্ষারক কীভাবে শনাক্ত করতে হয়, কীভাবে লিটমাস এর রং পরিবর্তিত হয় কিংবা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, সালফিউরিক অ্যাসিড এবং নাইট্রিক অ্যাসিড এদের পৃথকভাবে চিহ্নিত কীভাবে করা যায়, তাও এদিন করে দেখান বিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দ সহকারে এদিনের ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। তারাও নিজে হাতে কিছু কিছু পরীক্ষা করে দেখে এবং রসায়ন নিয়ে আরো পড়তে তারা উদ্দীপিত হয়। এদিনের এই হাতে-কলমে কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক সৈকত ঘোষ এবং সহযোগিতায় ছিলেন শিক্ষিকা মাসুমা আক্তার। এদিনের কার্যক্রমে আপ্লুত হন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকেরাও। তাঁরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমি কর্তৃপক্ষকে। স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শেখ জসিম উদ্দিন মন্ডল আগামী দিনে এ ধরনের হাতে-কলমে কর্মশালা আরো বেশি করে করার এবং বিভিন্ন বিষয়ের উপর করার প্রতিশ্রুতি দেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ