কলকাতা 

Teacher and Non-teaching Staff : মমতা সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত! শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক ক্লিকেই জানতে পারবেন, স্বচ্ছতা ও রাজনৈতিক মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই নবান্নের এই সিদ্ধান্ত!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : এবার এক ক্লিকে প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা।  সম্প্রতি ‘অফিস অব দ্য ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অব স্কুলস’-এর তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

নতুন এই পোর্টাল এর মাধ্যমে  শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে একটি ক্লিক করলেই তাদের পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা তাঁরা অনলাইনেই মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। নতুন এই পরিষেবার জন্য একটি পোর্টাল তৈরি হয়েছে, যেখানে পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। সঙ্গে পিএফ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে, পোর্টালেই বলা থাকবে সমস্যা সমাধানের পথ। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যে সমস্ত বয়স্ক শিক্ষক-শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী অনলাইন পদ্ধতিতে স্বচ্ছন্দ নন, তাঁদের জন্য কি কোনও বিকল্প ভাবনাচিন্তার পরিসর রেখেছে শিক্ষা দফতর?

Advertisement

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা দফতরের একাংশের কথায়, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাইছে শিক্ষা দফতর। যাঁরা স্মার্টফোন ব্যবহারে তেমন সড়গড় নন, তাঁরা বাড়ির কম্পিউটার থেকে এই কাজ করতে পারবেন। যাঁদের বাড়িতে কম্পিউটার নেই, স্থানীয় কোনও সাইবার ক্যাফে থেকেও এই কাজ করতে পারবেন। তেমন ব্যবস্থাই করা হয়েছে নতুন এই পোর্টালটিতে।

এই অনলাইন পদ্ধতিতে খুশি শিক্ষকদের বড় অংশ। তাঁদের কথায়, কোনও বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতির সঙ্গে যদি কোনও শিক্ষকের সম্পর্ক খারাপ হত, তা হলে তাঁদের পিএফ নিয়ে বিস্তর সমস্যায় পড়তে হত। নতুন এই অনলাইন পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতির পিএফ অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা থাকলেও, তাঁদের কাজকর্ম বহুলাংশে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই স্কুলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি আর প্রভাব ফেলতে পারবে না স্কুল শিক্ষকদের পিএফ অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে। অনেক সময় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণের আবেদন করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দিনের পর দিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (ডিআই) অফিসে ঋণের জন্য ঘোরাঘুরি করেও, তা পেতে ব্যর্থ হন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। নতুন এই অনলাইন পদ্ধতিতে পিএফের বিনিময়ে ঋণ পেতে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। এ ক্ষেত্রে কোথাও ঘুষ দিতে হবে না তাঁদের, দিনের পর দিন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসেও ধারণা দিতে হবে না।

শিক্ষকদের বেতন দেয়া ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু হয় কেমন রাজনৈতিক মুক্ত হতে পেরেছে শিক্ষকদের বেতন একইরকমভাবে পিএফ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য অনলাইনে হলে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের কাছে এক নতুন দরজা খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। এর ফলে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার শিক্ষকও শিক্ষাকর্মী। যারা এতদিন ধরে পিএফ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নানা হেনস্তার শিকার হতে হতো তারা এক ক্লিকেই সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ