প্রচ্ছদ 

Anish Khan Murder : আনিস হত্যাকান্ডের তদন্ত নিয়ে সাধারন মানুষের প্রশ্নে মুখে সিট, সাধারণ মানুষ সিটের কাছে কী কী প্রত্যাশা করছে? তা জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে অর্থাৎ শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ আলিয়ার ছাত্র নেতা আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ যে গিয়েছিল তা নিয়ে কোনো দ্বিমত এখন আর কারো মধ্যে নেই । পুলিশ যাওয়া এবং ফিরে আসার মধ্যেই আনিসের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ । তাহলে আপাত দৃষ্টিতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবেই পুলিশ জড়িত আছে বলে অভিযোগ । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি আনিসের পরিবারকে ন্যায় বিচার দেবেন । কিন্ত সাধারণ মানুষের মনে ইতিমধ্যে তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । বাংলার জনরব -এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝতে পেরেছি তা তুলে ধরা হলো :

প্রথমত, আনিস খুন হওয়ার পর তাঁর বাবা সালেম খান যখন আমতা থানায় ফোন করেছিলেন, ফোন পাওয়ার পরে কেন আমতা থানা থেকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এলো না ? যদি কোনো কারণে ফোর্স না থেকে থাকে তাহলে পুলিশ লাইন থেকে ফোর্স আনতে পারতো ! তা আনা হয়নি । সঙ্গে সঙ্গে তো দূরের কথা আনিসের মৃত্যুর বেশ কয়েক ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যান । তাহলে পুলিশ পোশাক পড়ে খুন করার খবর দেওয়ার পরেও কেন পুলিশ এলো না ! এর তদন্ত কী শুরু হয়েছে জানতে চায় সাধারণ মানুষ ।

Advertisement

দ্বিতীয়ত,আনিসের বাবার কাছে অভিযোগ পাওয়ার পর কেন সেই ব্যক্তির স্কেচ তৈরি করা হলো না , যিনি আনিসের বাবার সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ধরেছিলেন । পুলিশ যে গিয়েছিল তা প্রথমে অস্বীকার করা হলেও পরবর্তী কাজকর্মে এটা স্পষ্ট হয়েছে পুলিশ গিয়েছিল । আর এই কারণে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । একজন হোমগার্ড, অন্যজন সিভিক । এরা দুজনই পুলিশ নয়, অন্তত পুলিশ আইন অনুসারে । তাহলে যে ব্যক্তি আনিসের বাবার সামনে আগ্নেয়াস্ত্র ধরেছিলেন তাকে এখনও সামনে আনা হয়নি । কারণ একমাত্র ওই ব্যক্তিকেই আনিসের বাবা চিনতে পারবেন বলে দাবি করেছেন ।

তৃতীয়ত, প্রথম ময়না তদন্তকে এত দায়সারা কেন করা হয়েছিল ? তাহলে কী মামলা চেপে দেওয়ায় ছিল প্রথম উদ্দেশ্য। জনমতের চাপের কাছে সরকার নতিস্বীকার করেই তাই দ্বিতীয় বার ময়না তদন্ত করতে হলো ?

চতুর্থত, সিটের তদন্তের অভিমুখ এখন কীভাবে আনিসের মৃত্যু হয়েছিল সেটা তদন্ত করা, নাকি আনিসের বাড়িতে যেসব পুলিশ গিয়েছিল তাদের সামনে আনা । আর আসল দোষীকে গ্রেফতার না করে যেভাবে দায়সারা তদন্ত চলছে তা সাধারণ মানুষের বিরুপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে । সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে আনসের হত্যা রহস্যে কিনারা করা এবং এর সঙ্গে যুক্তদের শাস্তি যদি মমতা সরকার দিতে না পারে আগামী দিনে এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ