২০২২ সালের হজ যাত্রা হবে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল
বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০২২-এর পবিত্র হজযাত্রা চালু হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । তবে ২০২০ ও ২০২১ সালে পর পর দুবছর হজ বন্ধ ছিল । হজ হলেও তা শুধুমাত্র স্থানীয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সম্প্রতি উমরা চালু করা হয়েছে । এতে বিদেশীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে অংশ নেওয়ার জন্য । সৌদি আরব সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর মনে করা হচ্ছে আগামী বছর ২০২২ সালে হজ চালু হতে পারে । সেজন্য ভারত সরকার এবিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছে ।
যদিও সৌদি আরব সরকারে হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি । তবে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক এবার ভারতীয় হজ যাত্রীদের হজে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নাকভি শুক্রবার হজ বিষয়ক এক রিভিউ মিটিংয়ের পর জানিয়েছেন, আগামী নভেম্বর মাস থেকে ২০২২ সালে হজে যাওয়ার জন্য ভারতীয়দের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে। আর এই আবেদন প্রক্রিয়াটি হবে পুরোপুরি ডিজিটাল। হজযাত্রীদের জন্য ভারত ও সৌদি আরবে করোনা প্রোটোকল ও স্বাস্থ্য বিধি সম্পর্কিত হজ ২০২২-এর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দফতরে হজ ২০২২ বিষয়ে এক রিভিউ মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। হজ পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি আরবে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মিসেস রেণুকা কুমার।
এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুকতার আব্বাস নাকভি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিদেশ, অসামরিক বিমান পরিবহণ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও এয়ার ইন্ডিয়ার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা, এইচসিআই সিইও, সিজিআই জেদ্দা। যে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার মধ্যে অন্যতম হল, হজযাত্রীদের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ টিকাকরণ অনুযায়ী করা হবে এবং ভারত ও সৌদি আরব সরকার কর্তৃক সিদ্ধান্ত নেওয়া ডোজ এবং নির্দেশিকা এবং মানদণ্ড উভয়ই করা হবে। ডিজিটাল স্বাস্থ্য কার্ড, ‘ই-মাসিহা’ স্বাস্থ্য সুবিধা এবং ‘ই-লাগেজ প্রি-ট্যাগিং’, মক্কা-মদিনায় বাসস্থান ও পরিবহণ সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য হজযাত্রীদের সরবরাহ করা হবে। তথ্যসূত্র আপনজন।