কলকাতা 

‍সুরাফ হোসেনের উপর অত্যাচারকারী পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে জেলাশাসকের কাছে ২৮ সেপ্টেম্বর ডেপুটেশন মানবাধিকার সংগঠনগুলির

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : সময়ের বিচারে প্রায় দুমাস হয়ে গেলেও সোনারপুরের বেনিয়াবউ গ্রামের সন্তান এবং জাতীয় ফুটবলার ও রাজ্য পুলিশের কর্মী সুরাফ হোসেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত । রাজ্য মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত ইনসাফের আশায় দরবার করেও বিচার মেলেনি সুরাফের পরিবারের । শেষ পর্যন্ত সুরাফের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন । গণতান্ত্রিক নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে আগেই আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত হয়েছে । বাংলার জনরবও এ বিষয়ে সর্বপ্রথম সুরাফ হোসেনের উপর পুলিশি নির্যাতনের খবর প্রকাশ করেছিল ।

গত ৬ আগষ্ট সোনারপুর থানার এক অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী বেনিয়াবউ গ্রামে গিয়েছিল । কোনো একজনকে গ্রেফতার করতে । সেই সময় উপস্থিত সুরাফ হোসেন ওই পুলিশ অফিসারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন ধরতে এসেছেন ? এরপরেই  তাঁর উপর নারকীয় অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ । সাধারণত পুলিশের উপর পুলিশ অত্যাচার করে না । কিন্ত বেনিয়াবউ গ্রামে দেখা গেল পুলিশ পরিচয় পেয়েও সুরাফের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ । এলাকার মানুষের অভিযোগ সুরাফের উপর পুলিশি অত্যাচার চলাকালীন সময়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করে পুলিশ । তাঁর স্ত্রীকে মারধোর করা হয়, তাঁর স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তানও নষ্ট হয়ে যায় বলে অভিযোগ ।

Advertisement

প্রায় দুমাস ধরে প্রশাসনের সর্বস্তরে বিচারের আশায় ঘুরছেন দেবাশিষ ভট্টাচার্য, জুবি সাহা , গালিব ইসলাম , আনিসুর রহমানরা । কিন্ত বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদে চলেছে । তাই এবার জেলা শাসকের দফতরে যাবেন ওই মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা । গত বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর এই ডেপুটেশন হওয়ার কথা ছিল কিন্ত প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে তা বাতিল করা হয় । আগামী কাল মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর এই ডেপুটেশন হবে । ইতিমধ্যেই সুরাফের পরিবার ইনসাফের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন । মামলা দায়ের করা হয়েছে খুব শীঘ্রই শুনানী হবে বলে জানা গেছে । জেলাশাসকের কাছে মূলত তিনটি দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি ।

১. সুরাফ হোসেন ও তাঁর পরিবারের প্রতি ন্যায় বিচার দিতে হবে ।

২. পুলিশ প্রশাসনের নগ্ন সাম্প্রদায়িক গৈরিকীকরণ রুখতে হবে।

৩. দোষী পুলিশ কর্মীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে ।

এই ডেপুটেশন সকলের উপস্থিতি প্রয়োজন কারণ এই অত্যাচার থেকে আপনিও মুক্ত নন ।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ