দেশ 

বিবাহ-বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে সহবাস করা অন্যতম যুক্তি যুগান্তকারী রায় কেরল হাইকোর্টের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে কেরল হাইকোর্ট আজ যুগান্তকারী এক রায় দিয়েছে। আজ হাই কোর্ট বলেছে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের দিক থেকে বৈধতা পেলেও জোর করে কোন কাজ করা হলে তা মেনে নেয়া যায়না। স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে সহবাস করা হলে তা ধর্ষণের শামিল বলে কেরল হাইকোর্ট মন্তব্য করেছে।

বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক ও বিচারপতি কউসর ইড়াপ্পাগথকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ জানায়, অনেক সময় বৈবাহিক জীবনে ধর্ষণের ঘটনা তখনই ঘটে থাকে যখন স্বামী মনে করেন স্ত্রীর শরীর তাঁর সম্পত্তি এবং তার উপর তাঁর অধিকার রয়েছে। এবং সেই যুক্তিতে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তিনি, কিন্তু তা ধর্ষণ ছাড়া কিছুই নয়। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, ‘আইন বৈবাহিক ধর্ষণের জন‌্য কোনও আলাদা শাস্তি ধার্য করেনি বটে কিন্তু বিষয়টি থেকে আমরা মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারি না। এবং বিবাহবিচ্ছেদ পাওয়ার জন‌্য এটি অন‌্যতম প্রধান কারণ হিসাবে বিবেচিত হওয়া উচিত।’

Advertisement

বছর দশেকের পুরনো এক মামলায় কেরলের একটি পারিবারিক আদালত স্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পালটা হাই কোর্টে আবেদন করেন স্বামী। সেই আর্জি খারিজ করে আদালত জানায়, ‘সম্পদ ও যৌনতার জন‌্য স্বামীর অদম‌্য ক্ষুধাই ওই মহিলাকে অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল যার জন‌্য তিনি বিচ্ছেদের আবেদন করেন। এমনকী তিনি কোনও আর্থিক সাহায‌্য বা ক্ষতিপূরণের জন‌্যও আবেদন করেননি। আইনের মন্দিরে তাঁর আর্জি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মাথা খুঁড়েছে। প্রাপ‌্য সুবিচার পাওয়া তাঁর অধিকার।’

উল্লেখ‌্য, ১৯৯৫ সালে ওই দম্পতির বিয়ে হয়। শিক্ষাগত যোগ‌্যতায় চিকিৎসক হলেও তাঁর স্বামী কোনওদিন কোনও পেশায় আগ্রহী ছিলেন না বলে অভিযোগে জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। এছাড়া বিপুল সোনার গয়না, ফ্ল‌্যাট ও গাড়ি সহ বহু পণ-ও গ্রহণ করেছিলেন বিয়ের সময়। এই সমস্ত বিষয় নজরে রেখে কেরল হাই কোর্ট ফ‌্যামিলি কোর্টের নির্দেশ বহাল রেখে বিচ্ছেদের নির্দেশই জারি করেছে। সৌজন্যে ডিজিটাল সংবাদ প্রতিদিন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ