জেলা 

মালদহে ভ্যাকসিন না মেলায় বিক্ষোভ ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ভ্যাকসিন না মেলায় বিক্ষোভ ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের, উত্তেজনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে,বিক্ষোভের ফলে উধাও স্বাস্থ্যবিধি, ভ্যাকসিন নেই জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই মুহূর্তে দেশজুড়ে চলছে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া। চলছে রাজ্যেও। ১৮-৪৫ বছর বয়সের লোকদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই মাঝে মাঝে ভ্যাকসিন না মেলার চিত্র উঠে আসছে। এমন চিত্রই আজ উঠে এলো মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ভ্যাকসিন না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভ্যাকসিন নিতে আসা ১৮-৪৫ বছরের স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনিতেই লকডাউন চলছে। গণ-পরিবহন বন্ধ। তারমধ্যে ভ্যাকসিন নিতে এসে ঘুরে যেতে হলে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। অনেকেরই দাবি অনেক ভাড়া খরচ করে হাসপাতালে আসতে হয়েছে। বলা হয়েছিল ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তা লাইনও দেওয়া হয়।

কিন্তু তারপর হঠাৎ পোস্টার ঝুলিয়ে দেওয়া হয় শুধু ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পোস্টার পড়ার সাথে সাথেই শুরু হয় বিক্ষোভ। উত্তেজনা ছড়ায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে ওই বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন এখনো আসেনি। তাই দেওয়া সম্ভব না। এদিকে ভ্যাকসিন নিয়ে বিক্ষোভের জেরে উলংঘন হয় স্বাস্থ্যবিধি। শিকেয় উঠে সামাজিক দূরত্ব। এমনকি দেখা যায় ভ্যাকসিন নিতে আসা অনেকের মুখে মাক্স নেই।

Advertisement

ভ্যাকসিন নিতে আসা লক্ষণ পুরের বাসিন্দা তপন মালাকার বলেন,”সরকার থেকে বলা হচ্ছে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।তাই এসেছি।সকাল দশটা থেকে দাঁড়িয়ে আছি।১০০ টাকা ভাড়া খরচ করে আসতে হয়েছে।এখন বলছে ৪৫ উর্দ্ধদের ভ্যাকসিন দেবে।আমরা ভ্যাকসিন চাই।কাজ ক্ষতি করে খরচ করে এসে ঘুরে যাওয়া আর সম্ভব নয়।”

ভ্যাকসিন নিতে আসা লক্ষণপুরের আরেক বাসিন্দা চিরঞ্জিত দাস বলেন,”আমরা যখন আসি তখন বলা হয় দেড়টা অব্দি ৪৫ বছরের উর্দ্ধদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।তারপর ১৮ বছরের উর্দ্ধ দের দেওয়া হবে।এখন বলছে আমাদের জন্য ভ্যাকসিন আসেনি।আমরা গরীব মানুষ।এই ভাবে কাজ ক্ষতি করে ভাড়া খরচ করে প্রতিদিন আসা কী সম্ভব?”

ভ্যাকসিন না পাওয়া বারোডাঙ্গার বাসিন্দা ননি দাসের গলাতেও একই বিক্ষোভের সুর।তিনি বলেন,”গতকাল এসেও ঘুরে গেছি।আজ বলেছিল দেবে তাই আবার এসেছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে পোস্টার দিয়ে দিয়েছে শুধু ৪৫ বছরের উর্ধ্বেদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে আজ। বাকিদের ঘুরে যেতে হবে। তাই আমাদের বিক্ষোভ। আমরা ভ্যাকসিন চাই।”

যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন,”১৮-৪৪ বছর বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন গতকাল শেষ হয়ে গেছে। আমরা কিভাবে দেব?যেভাবে ভ্যাকসিন আসবে আমাদের সে ভাবেই দিতে হবে। আমরা কাউকে বাইরে ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিতে বলিনি। ২১ তারিখ আবার আসবে। তারপর দেওয়া হবে।”

রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার প্রত্যেকেই বলছেন যে সকল কে অতি দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সাপ্লাই নেই। আবার বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিন নষ্ট হচ্ছে এমন চিত্র ধরা পড়েছে। সরকারের উচিত অতি দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চালানো। কারণ করোনা কে হারানোর এটাই একমাত্র উপায়।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ