কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে কাটমানি পোস্টার ঘিরে শোরগোল
বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০১০ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তখনই ক্ষমতায় আসেনি । কিন্ত কলকাতা কর্পোরেশনের জয় নিয়ে সে বছর তৃণমূলের মধ্যে কোনো সংশয় ছিল না । ঠিক তখনই কলকাতার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ শিয়ালদহ সংলগ্ন এলাকার প্রার্থী হন অতি সাধারণ বাড়ির এক মেয়ে । তাঁর বাবা ছিলেন সেন্ট পলস কলেজের নিরাপত্তারক্ষী । শোনা যায় সোমেন মিত্রের হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন এই মেয়েটি । শুধু তাই নয় , মেয়েটি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতে কাউন্সিলার হলেন , মেয়র পরিষদের সদস্যও হয়ে গেলেন । মেয়েটির নাম মৌসুমী দে ।
কিন্ত কাউন্সিলার হওয়ার পর থেকে বরাবরই বির্তকের কেন্দ্রে চলে আসেন মৌসুমী দে। ঠিক পুরভোটের দামামা বাজতেই আবার বির্তকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন তিনি । এবার বির্তকের বিষয় কাটমানি । নীলরতন সরকার হাসপাতাল এবং আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের গেটের সামনে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দে-কে উদ্দেশ করে বুধবার রাতে বিশাল হোর্ডিং ঝুলিয়ে দেওয়া হল। ওই হোর্ডিংয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ছোট রুটির দোকান এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কলকাতায় স্থাবর সম্পত্তি আটটি এবং মন্দারমনিতে ছ’টি। তার সৌজন্যেই তাঁর জামাইবাবুর নারকেলডাঙা এলাকার বড় ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। এমনকি ওই পোস্টারে তাঁর নিজের বসতবাড়ির ছবি দিয়েও ব্যঙ্গ করা হয়েছে। একটা ঘরের জন্য তিনটে এসি মেশিন লাগানো ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘বুঝুন কী গরম’!
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কাউন্সিলর মৌসুমী দে বলেন, “তাজমহলের সামনে কেউ দাঁড়িয়ে ছবি তুললেই কী তাজমহল তাঁর হয়ে যায়? যে সম্পত্তির কথা বলা হয়েছে, তার প্রমাণ দিক আগে, তবে বুঝব।”
তথ্য সূত্র : ডিজিটাল আনন্দবাজার।