প্রচ্ছদ 

রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েই সিএএ-এনআরসি বিরোধী ধর্না মঞ্চে মমতা ,আমি চাই ক্যা, এনপিআর, এনআরসি প্রত্যাহার করা হোক মোদীকে বললেন মমতা

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : গত কাল রাত দশটা থেকে সারা দেশে সিএএ আইন লাগু হয়েছে । গতকাল রাতে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সারা দেশে বলবত করা হল । কিন্ত সমগ্র দেশজুড়েই চলছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-কর্মসূচি । এই প্রেক্ষাপটেই কলকাতা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সিএএ পাশ হওয়ার পর এই প্রথম তিনি কলকাতা সফরে এলেন । তবে সমগ্র কলকাতা জুড়েই ছিল বিক্ষোভ । গো-ব্যাক মোদীর স্লোগানে উত্তাল হয়েছে মহানগরী । সিএএ এবং এনআরসি-র প্রথম দিন থেকে বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কিন্ত আজ প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরকে ঘিরে যেভাবে উত্তাল হয়েছে বাংলার রাজনীতি সেই প্রেক্ষাপটে মমতার সঙ্গে মোদীর সৌজন্য বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা । তবে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেছেন ,“আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব তাঁকে স্বাগত জানানো। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে আমি দেখা করি।”

এদিন রাজভবনে মোদীকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী। তার পর একান্তে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন দু’জনে। রাজভবন থেকে বেরোনোর পথে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন মমতা। সাংবাদিকদের বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতেই তিনি রাজভবনে এসেছিলেন।

Advertisement

কী কথা হল দু’জনের? মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্রের কাছে আমার ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে… এ ছাড়াও বুলবুলের জন্যে সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। আমি সেই টাকা চাইতে এসেছি।’’

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়— এই বৈঠকে সিএএ-এনআরসি নিয়েও কথা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘ওনাকে বলেছি, দেখুন আপনি এখানে এসেছেন, আমার বলা উচিত কিনা জানি না। এনআরসি-ক্যা-এনপিআরের বিরোধী আমরা।  মানুষে মানুষে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা। কোনও মানুষের ওপরে যেন অত্যাচার না হয় সেটা দেখা উচিত। আমি চাই ক্যা, এনপিআর, এনআরসি প্রত্যাহার করা হোক, আপনারা বিষয়টা বিবেচনা করুন।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন— প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী গেলে এই নিয়ে কথা হবে।

তবে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে মমতা যান রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চে। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন রাস্তায় নেমেছে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায়। কিন্তু সেই তুলনায় টিএমসিপির এই ধর্নামঞ্চ দিনভরই ছিল বেশ নিষ্প্রভ। মমতা আসতেই অবশ্য চাঙ্গা হয় মঞ্চ। সেখানে মমতা বলেন, ‘‘এই বাংলা থেকেই শুরু হয়েছিল এনআরসি বিরোধিতা। আমি শেষ দিন পর্যন্ত এর বিরোধিতাই করে যাব। আমি সমস্ত পড়ুয়াদের আমার সমর্থন জানাচ্ছি। সবাই একসাথে লড়ুন। কেন্দ্রীয় সরকার যে নোটিফিকেশন জারি করেছে, তা কাগজে কলমেই থাকবে, আমরা লাগু করব না, এই আমার বিশ্বাস।’’

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

eight + three =