স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠিতে ‘ গোর্খাল্যান্ড‘ শব্দের ব্যবহার ; সমালোচনায় মুখর তৃণমূল , কংগ্রেস ও সিপিএম
বাংলার জনরব ডেস্ক : দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের একটা অংশ নিয়ে কী গোর্খাল্যান্ড তৈরি করা হবে । আবার নতুন করে গোর্খাল্যন্ড বির্তক সামনে এলো । বলা যেতে সামনে নিয়ে আসা হল । দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দার্জিলিং-র দলীয় সাংসদকে লেখা এক চিঠিতে তিনি দার্জিলিং সংলগ্ন এলাকাকে গোর্খাল্যান্ড বলে সম্বোধন করেছেন। তা নিয়ে বির্তকের সূত্রপাত ।
সংবাদে প্রকাশ দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী থেকে গোর্খাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে ১১ জুলাই শাহকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। চিঠিতে দার্জিলিং পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্স এবং লাদাখে বসবাসকারী গোর্খাদের বিশেষ বাহিনীতে পুনর্নিয়োগের দাবি জানান তিনি।
সাংসদের সেই চিঠির জবাব দিতে গিয়েই নতুন করে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন শাহ। এই চিঠির কথা জানাজানি হওয়ার পরে ক্ষুব্ধ রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের একটি সূত্রের দাবি, গোর্খাল্যান্ডের তো কোনও অস্তিত্বই নেই। তা হলে সেই প্রসঙ্গ ওঠে কী করে? জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পরে দার্জিলিঙেও পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন, এই চিঠি তাতে নতুন করে ইন্ধন জোগাবে।
তবে বিনয় তামাং থেকে তৃণমূল বা সিপিএম, সকলেই কড়া সমালোচনা করেছেন। বিনয় বলেন, ‘‘বিজেপি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে ভোট নিয়ে এখন পাহাড়ের মানুষকে ভাঁওতা দিচ্ছে। গোর্খাল্যান্ড করে দিতে না পারলেও মানুষকে বোকা বানাতে শব্দটি ব্যবহার করেছে।’’ পাহাড় তৃণমূলের সভাপতি লাল বাহাদুর রাই বলেন, ‘‘বিজেপি পাহাড়ে কাজ না করে ওই সব কথা বলে শান্ত পাহাড়কে ফের আশান্ত করতে চাইছে।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তৃণমূল আর বিজেপি, কোনও পক্ষই পাহাড় সমস্যার সমাধান চাইছে না। কেউ ঘুরিয়ে, কেউ সরাসরি গোর্খাল্যান্ডের কথা বলে পাহাড়ে আশান্তি ছড়াচ্ছে।’’
বিশিষ্ট আইনজীবী সরদার আমজাদ আলী এ প্রসঙ্গে বলেন , তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভায় কাশ্মীর পূর্ণগঠন বিল নিয়ে সংসদের ভেতরে গরম গরম ভাষন দিয়ে ; ওয়াকআউট করে বিল পাশে বিজেপিকে সাহায্য করেছিল । তারই পরিণতিতে দার্জিলিংসহ সংলগ্ন এলাকাকে যদি গোর্খাল্যান্ড করে দিতেই পারে কেন্দ্র । রাজ্য যদি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিনত হতে পারে তাহলে রাজ্যের একটি বিশেষ এলাকাকেও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করে দিতে পারে । তবে এটা বিপজ্জনক সংকেত ।
