Sheikh Hasina : শেখ হাসিনার লকারে সোনার পাহাড় ! কী কী পাওয়া গেল?
আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। এবার শেখ হাসিনার গয়নাগাটি বাজেয়াপ্ত করল বাংলাদেশ সরকার। লকার থেকে হাসিনার ১০ কেজি গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে দেশের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা। ভারতীয় মুদ্রায় বাজেয়াপ্ত গয়নার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। (Sheikh Hasina’s Gold Seized)।
বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’ সংবাদপত্র জানিয়েছে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, হাসিনার দু’টি লকার থেকে মোট ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছে। ‘অগ্রণী ব্যাঙ্কে’ ওই দু’টি লকার ছিল তাঁর। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খুলে বের করা হয় গয়না। (Sheikh Hasina News)

ঢাকার দিলকুশায় ‘অগ্রণী ব্যাঙ্কে’র মূল শাখায় দু’টি লকার ছিল। করফাঁকির অভিযোগ এবং সম্পত্তির তথ্য গোপন করা নিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ওই লকার দু’টি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবার তার ভিতরে থাকা হাসিনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হল। আয়কর রিটার্নে হাসিনা যে তথ্য দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে ওই গয়না মিলিয়ে দেখা হবে বলে খবর।
বুধবার হাসিনার তিনটি লকার পরীক্ষা করে দেখা হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ‘পূবালী ব্যাঙ্কে’। তবে একটি থেকে শুধুমাত্র খালি পাটের ব্যাগই উদ্ধার হয়। অন্য দু’টি লকার থেকে যে বিপুল পরিমাণ গয়না উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে সোনার হরিণ, সোনার নৌকা, নেকলেস, দুল, আংটি, চুড়ি, বালা। একটি লকার ছিল হাসিনা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে, অন্যটি ছিল হাসিনা ও তাঁর বোন রেহানার নামে।
দু’টি লকার থেকে গয়না উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে হাসিনার ব্যক্তিগত সোনার পরিমাণ কত, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা সেই মর্মে ঝাড়াই-বাছাই করবেন। ২০০৭ সালে সম্পত্তি বিবরণ দিতে গিয়ে লকারগুলির উল্লেখ করেছিলেন হাসিনা। গতবছর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর তাঁর সম্পত্তি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়।
যদিও লকার থেকে হাসিনার গয়না উদ্ধারের বিষয়টি মানছেন না তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, কড়া নিরাপত্তায় রাষ্ট্রীয় গণভবনে ছিলেন হাসিনা। আলাদা করে লকারে গয়না রাখার প্রয়োজন ছিল না তাঁর। পাশাপাশি, ছোট আকারের লকারে অত গয়না আদৌ রাখা সম্ভব কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

