শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে এক অভিনব উদ্যোগের সূচনা করলো
স্মৃতি সামন্ত, কলকাতা : গ্রামীণ শিল্প, সংস্কৃতি ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সেতুবন্ধনে রাজ্যের অর্থনীতিতে নতুন আশার আলো জাগাতে শান্তিনিকেতনে শুরু হল “শান্তিনিকেতন E-হাট”। আপাতত প্রতি রবিবার বোলপুর সংলগ্ন শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে বিকালে এই হাট বসবে।
গ্রামীণ ভারত আজ নতুন করে জেগে উঠেছে। সেই গ্রামীণ শিল্প, সংস্কৃতি আর ডিজিটাল প্রযুক্তির হাত ধরেই এবার রাজ্যের অর্থনীতিতে আশার নতুন সূর্য রচনার ভাবনা। গ্রামের সাধারণ কারিগর, শিল্পী ও উদ্ভাবনী মননের মানুষের দক্ষতা এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রচারশক্তিকে একসঙ্গে যুক্ত করে এক নজিরবিহীন সৃজনশীল সহযোগিতার পথ খুলে দিল ‘পজিটিভ বার্তা’-র শান্তিনিকেতন E-হাট বা ই-মার্কেট প্রকল্প।

এই কর্মসূচীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের অংশগ্রহণ। তাদের মাধ্যমে এই সমস্ত শিল্পপণ্য ও সৃষ্টিশীল কার্যক্রম নতুনভাবে পৌঁছে যাবে ডিজিটাল দুনিয়ার কোটি কোটি মানুষের কাছে। ফলে যেমন কারিগরদের কাজ পাবে প্রচার ও বাজার, তেমনি ইনফ্লুয়েন্সাররাও পাবেন আয় ও পেশাগত বিকাশের সুযোগ। এটি এক অর্থে গ্রামীণ শিল্প ও ডিজিটাল কনটেন্ট ইকোনমির পারস্পরিক সহাবস্থান।
রবীন্দ্রনাথ যেখানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেখানে আজ আমরা ডিজিটাল ভারতের মাধ্যমে সেই ভাবনাকে নতুন রূপ দিতে চাই। শান্তিনিকেতন E-হাট সেই চেষ্টারই অংশ।
আজকে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হলে এই ই-হাটের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সোমা তেওয়ারি। তিনি বলেন, শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজের কর্ণধার মলয় পিট এক অভিনব উদ্যোগের সূচনা করেছেন । সমগ্র শান্তিনিকেতনের অধিবাসীদের সম্প্রদায় কে এক নতুন আসার আলো দেখাতে পারে।

