নদীয়া দর্পণ’-এর পঞ্চাশ বর্ষে পদার্পণ
দীপাঞ্জন দে: কৃষ্ণনগরের কালীনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ২৯ নভেম্বর, ২০২৫ (শনিবার) বিকেলে ‘নদীয়া দর্পণ’ পাক্ষিকের ৫০বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সহযোগিতায় ছিল কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘মুক্তধারা’। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধন সংগীত পরিবেশন করেন শুভময় সরকার। এরপর স্বাগত ভাষণ রাখেন ‘নদীয়া দর্পণ’ পাক্ষিকের সম্পাদক শিবু চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে ‘নদীয়া দর্পণ’ পত্রিকা প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। জননেতা কাশীকান্ত মৈত্রের তত্ত্বাবধানে শিবু চৌধুরীর সম্পাদনায় সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে এই পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে আসছে। পত্রিকার পক্ষ থেকে এ বছর তাই ৫০ বর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল নদীয়া দর্পণ পত্রিকা পরিষদের প্রকাশনায় ‘নদীয়া দর্পণ পঞ্চাশে পদার্পণ’ শীর্ষক স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ। আড়াইশো পৃষ্ঠার এই গ্রন্থের সম্পাদনা-উপদেষ্টা শিবু চৌধুরী এবং গ্রন্থটি সম্পাদনা করেছেন দীপাঞ্জন দে। এদিনের সভামঞ্চে গ্রন্থটির আবরণ উন্মোচন করেন ব্যাঙ্গালোর কে.আই.আই.টি. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. নৃপেন্দ্রলাল মিত্র।
এছাড়া গ্রন্থপ্রকাশের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সত্যনারায়ণ মাজিলা, শংকরেশ্বর দত্ত, সম্পদনারায়ণ ধর, রামকৃষ্ণ দে, বিপ্লব দাশগুপ্ত, চৈতালী মৈত্র, প্রতুলচন্দ্র দত্ত, দীপাঞ্জন দে প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ। এরপর ‘নদীয়া দর্পণ পঞ্চাশে পদার্পণ’-এর সম্পাদক দীপাঞ্জন দে গ্রন্থটির নির্মাণ-প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

এদিন শিবনাথ চৌধুরীর লেখা ‘বাংলার শাসনব্যবস্থার মুখোশ ও মুখশ্রী’ গ্রন্থটি ‘বর্ধমান দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদক সত্যনারায়ণ মাজিলার হাত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পায়। আয়োজকদের আমন্ত্রণে এদিন ড. চৈতালী মৈত্র কলকাতা থেকে এসেছিলেন ‘কোন পথে ভারতের গণতন্ত্র’ —এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে। তাঁর তথ্যপূর্ণ যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্য সকলকে মুগ্ধ করে। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নদীয়া দর্পণ পাক্ষিকের সহ-সম্পাদক প্রতুলচন্দ্র দত্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন কবি রামকৃষ্ণ দে।

