দেশ 

কর্নাটকে এক কেন্দ্রেই ৬০০০ ভোট চুরি! নতুন প্রমাণ পেশ রাহুলের, নিশানায় কমিশন

শেয়ার করুন

ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে ফের বিতর্কের ঝড় তুললেন রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা এ বার সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে করে অভিযোগ তুললেন, নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে ভোটার তালিকায় কারচুপি চলছে। তাঁর বক্তব্য, কোথাও বৈধ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, আবার কোথাও অবৈধভাবে নতুন নাম যুক্ত হচ্ছে।

রাহুল গান্ধী এ প্রসঙ্গে উদাহরণ দেন কর্ণাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রের। তাঁর দাবি, ওই কেন্দ্র থেকে একেবারে ৬০১৮ জন ভোটারের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। বিশেষ করে, কংগ্রেস শক্তিশালী বুথগুলিতেই এই নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে তাঁর অভিযোগ আরও বিস্তৃত আকার নিয়েছে।

Advertisement

রাহুলের বক্তব্য অনুযায়ী, এটি নিছক প্রশাসনিক ত্রুটি নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। তাঁর অভিযোগ, “যেখানে কংগ্রেস জিততে পারে, সেখানেই ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।” সরাসরি তিনি নিশানা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে।

এই অভিযোগ সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় #VoteChori এবং #SaveDemocracy হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে প্রচার শুরু করেছেন। অন্যদিকে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, রাহুল গান্ধী পরাজয়ের আশঙ্কায় ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোটার তালিকার কারচুপি নিয়ে রাহুলের এই বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কারণ অতীতে একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকা ঘিরে বিতর্ক হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।

ভারতে নির্বাচনী সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নের মুখে। ভোটার তালিকা সংশোধন, ভূয়া ভোটারদের নাম মুছে দেওয়া, বা প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। তবে রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য আরও একবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিল।

কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, যদি এক কেন্দ্রেই ৬০০০ ভোটার বাদ পড়ে থাকে, তবে দেশজুড়ে এর সংখ্যা কত হতে পারে, তা ভেবে দেখা জরুরি। তারা কমিশনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।

অন্যদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, রাহুল গান্ধী ইচ্ছে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তাদের মতে, ভোটার তালিকা সংশোধন একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, সেখানে কারচুপি নেই।

ভোটার তালিকা কারচুপির অভিযোগ এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। রাহুলের এই নতুন অভিযোগ লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ