ভাঙড়ের পর বীরভূমে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন!
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভাঙড়ের (Bhangar Death) পর সাঁইথিয়ার (Sainthia Death) পালা। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে খুন হলেন শ্রীনিধিপুর তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি (Trinamool Leader Death) পীযূষ ঘোষ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ২ মহিলা-সহ আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
ভোর প্রায় ৪টে নাগাদ রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার দেহ, পাশে রাখা ছিল তাঁর বাইক। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথার পেছনে গুলি করা হয় তাঁকে। গুলি মাথা ফুঁড়ে কপাল দিয়ে বেরিয়ে যায়।

যে জায়গায় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে একটাই মাত্র বাড়ি রয়েছে, সেটা মৌসমীর।এদিন সকালেই পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করেছে। তারপরেই জেরা শুরু করে। এর সঙ্গে আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। মৌসমীকে জেরা করে কী ঘটনা ঘটেছিল, জানতে চাইছে পুলিশ। আটক হওয়া ওই মহিলা দাবি করেছেন, সে কিন্তু পীযুষকে ফোন করেনি। বরং বীরভূমে সাঁইথিয়ার শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি পীযূষ ঘোষই তাঁকে ফোন করেছিলেন। এবং তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর মোটর সাইকেল রাস্তার উপর রাখা ছিল।
বীরভূমের ঘটনায় ইতিমধ্যেই নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে বেরোনোর পর, রাত দেড়টায় স্বামীর সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল তাঁর। এদিকে পুলিশ সূত্রে দাবি, আটক মহিলা জানিয়েছেন, সাঁইথিয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পীযুষ ঘোষ রাতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়ির সামনেই ওত পেতেছিল আততায়ী। রাত ২ নাগাদ ওই মহিলার বাড়ি থেকে বেরোতেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করার অভিযোগ। ওই মহিলার বাড়ির সামনেই পড়েছিল তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ দেহ। তিনি বলেছেন, সাঁইথিয়া তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুন করেছে একজনই। তবে খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হলেও আততায়ী তাঁর অপরিচিত।