জেলা 

মহেশতলা গোষ্ঠী সংঘর্ষে আরএসএস যোগ! গ্রেফতার সংঘের কর্মী

শেয়ার করুন

মহেশতলা গোষ্ঠী সংঘর্ষে আরএসএস যোগ! বজবজে বোমা তৈরির বিপুল মশলা-সহ গ্রেফতার আরএসএস কর্মী। ওই মশলা কেন মজুত করা হয়েছিল? ধৃত আরএসএস কর্মী রবীন্দ্রনগর কাণ্ডে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া মহেশতলা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের তিনটি এফআইআর। বাড়তে পারে গ্রেফতারির সংখ্যা। ঘটনায় নিঁচু তলার পুলিশকর্মীদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই দিকও।

ধৃত আরএসএস কর্মীর নাম নবীনচন্দ্র রায়। তিনি বিজেপির সঙ্গেও যুক্ত বলে খবর। পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বজবজ থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির মশলা উদ্ধার হয়। ৩টি মটরসাইকেলে সেই মশলাগুলি অন্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশের তল্লাশিতে বাইক-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের থেকে সোডিয়াম পাউডার, ১০কেজির বেশি অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো, ফসফরাস গুঁড়ো, রেড সালফার ও আয়রন ডাস্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

এই পাঁচজনের মধ্যে একজন নবীনচন্দ্র রায়। এই ব্যক্তি আগেও উত্তেজনা ছড়িয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, এই আরএসএস কর্মী নবীনচন্দ্র রায় রামনবমীর দিন মহেশতলা বাটা মোড়ে যে ব্যারিকেড করা হয়েছিল তা উলটে ঝামেলা পাকিয়েছিলেন। ভিডিও ফুটেজে তা দেখা গিয়েছে। এহেন ব্যক্তি পুলিশের জালে ধরা পড়তেই প্রশ্ন উঠছে, নবীনচন্দ্র কী মহেশতলার রবীন্দ্রনগর এলাকার ঝামেলার সঙ্গে যুক্ত? ঝামেলা পাকাতে, অপরাধের উদ্দেশ্যে বিপুল মশলা জমা করেছিলেন তিনি? সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

বুধবারে আকরা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের ঘটনায় রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা থেকে ২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০টি জায়গায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। মোট ৩টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে। ঘটনায় কাউকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও ওই অবৈধ নির্মাণ কেন স্থানীয় পুলিশকর্মীরা দেখেননি, সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার রাহুল গোস্বামী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) মিতুনকুমার দে।

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোঁড়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এলাকায় জারি রয়েছে ১৬৩ ধারা।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ