Kamol Hassan : শিখতেই পারি কিন্তু চাপিয়ে দেবেন কেন? হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে ফের সরব তামিল অভিনেতা কমল হাসন
বাংলার জনরব ডেস্ক : চাপিয়ে দেওয়া যাবে না শিখতেই পারি হিন্দি শেখার মধ্যে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে তা মেনে নেব না। সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেছেন দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসন।
সম্প্রতি কন্নড় ভাষাকে তামিলের সন্তান বলে উল্লেখ করে বিতর্কে জড়িয়েছেন কমল। তাঁর বিরুদ্ধে হয়েছে আইনি পদক্ষেপ। নিজের বক্তব্যে তবু অনড় অভিনেতা। দুই দ্রাবিড় ভাষার মধ্যে এমন গোলমাল আগে তেমন ভাবে দেখা যায়নি। তবে এ বার ফের ভাষা নিয়ে মুখ খুললেন কমল। তাঁর নতুন ছবি ‘ঠগ লাইফ’-এর প্রচারের মধ্যেই তিনি হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেন।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কমল বলেন, “আমি ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ছবির অভিনেতা। কোনও আগ্রাসন ছাড়াই আমরা অন্য ভাষা শিখতে পারি। চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।” কমল তুলে আনেন জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রসঙ্গ। তিনি মনে করেন শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যাতে সব থেকে সহজ পথে ছোটদের শেখানো যায়। সেই পথে যেন কোনও বাধা না থাকে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘এক দুজে কে লিয়ে’-তে কমল এক তামিল যুবকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সে ছবির নায়ক এক হিন্দিভাষী প্রতিবেশীর প্রেমে পড়ে। এ ছবি কমলকে দিয়েছিল বলিউডে প্রতিষ্ঠা। সেই সূত্র টেনেই অভিনেতা কেন্দ্রীয় হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
কমলের রাজ্য তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করছে। ছোটদের তিনটি ভাষা শিক্ষার বাধ্যবাধকতা মানতে তারা রাজি নয়। অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ভারতের সর্বত্র হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কমল নিজেও এমনই মনে করেন।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য একটা ভাষা শেখা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে ইংরিজি শেখাই যথেষ্ট। কেউ চাইলে স্প্যানিশ বা চাইনিজ় শিখে নিতে পারেন। আমরা তো গত প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে ইংরিজিটা শিখেছি, ধীরে ধীরে, কিন্তু দৃঢ় ভাবে। আজ হঠাৎ বদলাতে গেলে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।” তিনি মনে করেন, এখন এই নিয়মের পরিবর্তন করতে গেলে অহেতুক কিছু মানুষকে অশিক্ষিত বলে দেগে দিতে হবে, বিশেষত তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে। কমল বলেন, “এখন যদি হিন্দি চাপিয়ে দেন এবং বলতে শুরু করেন হিন্দি না জানলে বিন্ধ্য পর্বতের ও পারে আর কোনও কাজ তোমার জন্য নেই, তা হলে তো মুশকিল। তা হলে সেই সব প্রতিশ্রুতির কী হবে, আমার ভাষার কী হবে? আমি কি সেই ২২টি সরকারি ভাষার সদস্য নই? এ সব প্রশ্ন তো উঠবেই।”