কলকাতা 

বিধায়কের চশমার বিল দেখে স্তম্ভিত মমতা, বেঁধে দিলেন চশমা থেকে মেডিক্যাল বিলের সীমা!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : এক বিধায়কের চশমা বানাতে খরচ ৬৫ হাজার টাকা। আর এই বিল দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ কপালে ওঠে। এর পরেই বিধায়কদের চশমা থেকে শুরু করে মেডিক্যাল বিলের সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

ঠিক হয়, বিধায়কদের চশমার দাম সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা হতে পারে। তার বেশি নয়। পাশাপাশিই, বিধায়কদের হাসপাতালে বেডভাড়া দৈনিক আট হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। সেই মর্মে কার্যকরী পদক্ষেপ করা শুরু করেছে বিধানসভার সচিবালয়।

Advertisement

বিধানসভার সদস্যদের চিকিৎসার খরচ বহন করে বিধানসভার সচিবালয়। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধায়কদের ‘আকাশছোঁয়া’ মেডিক্যাল বিল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় বিধানসভার আধিকারিকদের। কোনও মেডিক্যাল বিলে ‘অসঙ্গতি’ বা ‘অত্যধিক’ খরচ দেখা গেলে তা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরে আনা হয়। তেমনই একটি বিল স্পিকারের টেবিলে পেশ করার সময় ঘরে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কের চশমার খরচ শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। স্পিকারের কাছে জানতে চান, বিধায়কদের চিকিৎসার জন্য খরচের কোনও নির্দিষ্ট সীমা আছে কি না। ওই বিষয়ে দু’জনের আলাপ-আলোচনাও হয়। তার পরেই স্পিকার বিধানসভার সচিবালয়কে নির্দেশ দেন, এ বার থেকে পাঁচ হাজার টাকার বেশি কোনও বিধায়ককে নতুন চশমা তৈরির জন্য দেওয়া হবে না।‌ চিকিৎসার কারণে ভর্তি হলে হাসপাতালের বেডভাড়াও দৈনিক ৮ হাজার টাকার বেশি হওয়া চলবে না।

প্রসঙ্গত, গতবছর উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের মেডিক্যাল বিল নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছিল। সে বার বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁর কন্যাসন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খরচ বাবদ ৬ লক্ষ টাকার বিল বিধানসভায় জমা দিয়েছেন কাঞ্চন। বিষয়টি জানাজানি হতে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিলেন কাঞ্চন। তার আগে মমতার নেতৃত্বাধীন প্রথম সরকারের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ৯৯ হাজার ৮৮০ টাকার একটি মেডিক্যাল বিল জমা দিয়েছিলেন। তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ