আন্তর্জাতিক দেশ 

ভেনেজুয়েলা থেকে তেল ও গ্যাস কিনলে ২৫ শতাংশ কর চাপাবে আমেরিকা, আরো চাপে মোদি সরকার

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : আমেরিকার প্রেসিডেন্টের রোষানলে এখনো ভারত যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি ডেয়ার ফ্রেন্ড বলে সম্বোধন করে থাকেন। ভারত সরকার দক্ষিণ আমেরিকার ভেনেজ়ুয়েলা থেকে খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস কিনে থাকে। অনেকটা সস্তায় এই খনিজ তেল ও গ্যাস পাওয়া যায়। ওই দেশের প্রায় অর্ধেক তেল ভারত সরকার গত বছর পর্যন্ত কিনেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন,ভেনেজ়ুয়েলার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে ওই দেশগুলিকে আমেরিকার সঙ্গে যে কোনও ধরনের বাণিজ্যের সময়ে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকেই এই নীতি কার্যকর হয়ে যাবে। এর ফলে ভারতের উপরে আরো চাপ বৃদ্ধি হলো বলে, আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে।

দ্বিতীয় বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।  দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ভেনেজ়ুয়েলার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণে এই দেশটির সঙ্গে কোনও বাণিজ্য করতে গেলে আমেরিকার অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ‘অস্ত্রকেই’ এ বার কাজে লাগাচ্ছেন ট্রাম্প।

Advertisement

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভেনেজ়ুয়েলা থেকে খনিজ তেল কেনার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ভারত। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দিনপিছু প্রায় ১,৯১,৬০০ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ভারত। পরের মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ২,৫৪,০০০ ব্যারেলেরও বেশি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভেনেজ়ুয়েলা থেকে রফতানি হওয়া তেলের প্রায় অর্ধেকই ভারতে এসেছিল।

বস্তুত, ভেনেজ়ুয়েলা থেকে আমদানি করা তেলের একটি বড় অংশ বর্তমানে ব্যবহার করে রিলায়্যান্স গোষ্ঠী। ভেনেজ়ুয়েলা থেকে খনিজ তেল কেনার জন্য ২০২৩ সালে আমেরিকার অনুমোদন পায় এই ভারতীয় সংস্থা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স গত বছরে জানিয়েছিল, ভেনেজ়ুয়েলার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সাময়িক শিথিলের সময়ে ওই অনুমোদনটি পায় ভারতীয় সংস্থা। সে ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে নিষেধাজ্ঞা সাময়িক শিথিলের সময়ে যে সংস্থাগুলি ভেনেজ়ুয়েলার সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করেছিল, তাদের উপর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে বলে অনুমান করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ