ভারত যাই ধার্য করুক না কেন আমি আমার মত শুল্ক ধার্য করব আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
বাংলার জনরব ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কোনভবেই তিনি শুল্ক কমাবেন না। আমেরিকা তার স্বার্থকে বিপন্ন করে বা তার আর্থিক লাভকে অস্বীকার করে কোন সম্পর্ক রাখবে না। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাষায় একথা জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য,গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর তাঁর এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
মোদীর ওই সফরেই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বহর ৫০,০০০ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার জন্য চুক্তি করেছে ভারত এবং আমেরিকা। তবু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তো বটেই, বাণিজ্য সহযোগীদের উপরেও পাল্টা আমদানি শুল্ক বসাতে চলেছে তাঁর প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া বিভিন্ন পণ্যের উপরে কতটা শুল্ক বসবে, তা এপ্রিলের দিকে স্পষ্ট হবে। ভারত পাল্টা কোনও পদক্ষেপ করে কি না, তা বোঝা যাবে তার পরেই। যদিও ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) বসানোর ঘোষণায় ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, পোশাক, জুতো-সহ ভারতের শ্রম নিবিড় পণ্যের উপরে আমেরিকা এখনই ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক চাপায়। অন্য দিকে, আমেরিকা থেকে আসা একটা বড় অংশের পণ্যের উপরে ভারত চাপায় ৫ শতাংশ কর। মোদীর সফরের আগেই অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতজাত পণ্যের উপর নতুন করে শুল্ক বসানোর বার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই নীতি কার্যকর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে টানাপড়েন আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকার একটি বাণিজ্য সমীক্ষা সংস্থার রিপোর্ট বলছে, ট্রাম্প ‘পারস্পরিক শুল্ক’ চাপালে ভারতের সম্ভাব্য বার্ষিক লোকসানের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০০ কোটি ডলার। কিন্তু হোয়াইট হাউসের বৈঠকে কি মোদী এ নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি? টিভি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের জবাব, ‘‘আমার সঙ্গে তর্ক করে কেউ পারবেন না। আমি যদি বলি ২৫ শতাংশ (শুল্ক), তিনি বলবেন ‘উফ ভয়াবহ’। কিন্তু আমি তা বলব না। আমি শুধু বলি, আপনি যাই ধার্য (শুল্ক) করুন না কেন, আমি করবই।’’