ফল প্রকাশের আগে দিল্লিতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম! তদন্তে নির্দেশ উপ রাজ্যপালের, অপারেশন লোটাস কি হচ্ছে?
বিশেষ প্রতিনিধি : আগামীকাল ৮ই ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে। দিল্লি কার দখলে যাবে? তা নির্ধারণ হয়ে যাবে। আর ঠিক এই মুহূর্তেই অপারেশন লোটাসের অভিযোগ করলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই অভিযোগ সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে উপরাজ্য পালের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে দিল্লির এসিবি।
দিল্লিতে ভোট পর্ব মেটার পরই আপের দুই শীর্ষ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং সঞ্জয় সিং দাবি করেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিজেপি আপ প্রার্থীদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে। অতীতে যেভাবে কর্নাটক, গোয়া, মণিপুরের মতো রাজ্যে অপারেশন লোটাস চালিয়েছে পদ্ম শিবির, দিল্লিতেও সেই একই চেষ্টা করা হচ্ছে। আপের অভিযোগ, এক এক জন প্রার্থীকেই দল বদলানোর জন্য ১৫ কোটি টাকা করে ‘অফার’ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে থাকছে লোভনীয় মন্ত্রিত্বের অফারও। অন্তত ১৬ জন প্রার্থী এই প্রস্তাব পেয়েছেন।
আপ এই অভিযোগ করার পর পালটা সক্রিয় হয় বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এভাবে অহেতুক বাজার গরম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু মিত্তল সোজা গিয়ে উপরাজ্যপালের কাছে নালিশ ঠুকে দেন। তিনি দাবি করেন, “আপের অভিযোগে কোনও সারবত্তা নেই। ভোটারদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।” ওই বিজেপি নেতার বক্তব্য, সঠিক তদন্ত হলেই বোঝা যাবে এই অভিযোগে কোনও সারবত্তা নেই। বিজেপির অভিযোগ পাওয়ামাত্রই তদন্তের নির্দেশ দেন উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।
উপরাজ্যপালের তদন্তের নির্দেশের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। শুক্রবার বিকেলের দিকে অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোর আধিকারিকরা চলে যান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে। তদন্তের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু এসিবি আধিকারিকদের বাড়িত ঢুকতে দেননি কেজরিওয়াল। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, বিজেপি অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ার অধিকার এসিবির নেই। আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের বক্তব্য, “বিজেপি স্রেফ নাটক করছে।” সব মিলিয়ে ফলপ্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত দিল্লি।