ভারত থেকে হাসিনাকে ফেরত চেয়ে যে চিঠি বাংলাদেশ পাঠিয়েছিল তার প্রাপ্তি স্বীকার করল ভারত
বাংলার জনরব ডেস্ক : শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত চেয়ে যে চিঠি বাংলাদেশ সরকার কেন্দ্র সরকার কে পাঠিয়েছিল শেষ পর্যন্ত তার প্রাপ্তি স্বীকার করল কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল এ বিষয়ে জানিয়েছেন চিঠি তারা পেয়েছেন তবে কোন মন্তব্য করতে তিনি অস্বীকার করেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘প্রত্যার্পণের বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ হাই কমিশনের থেকে একটি নোট ভার্বাল পেয়েছি আমরা। বর্তমানে এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো কিছু নেই।’’

সোমবার বাংলাদেশের বিদেশ সংক্রান্ত উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ ফেরত চেয়েছে। ভারতকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে।” তাঁকে উদ্ধৃত করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। এ বার সেই ‘নোট ভার্বাল’ বা কূটনৈতিক বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করল বিদেশ মন্ত্রক।
উল্লেখ্য ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অপরাধী বিনিময় চুক্তি অনুসারে দুই দেশের আদালতে যে ব্যক্তি অভিযুক্ত হবেন বা দোষী সাব্যস্ত হবেন সে যদি ভারতের নাগরিক হন এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন তাহলে বাংলাদেশ সরকার তাকে ভারত সরকারকে ফেরত দেবে ঠিক উল্টোটা হচ্ছে বাংলাদেশের কোন নাগরিক যদি ভারতে বসবাস করে, আর সে যদি একজন অপরাধী হয় তাহলে চুক্তি অনুসারে ভারত সরকার সেই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত পাঠাতে বাধ্য। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার ধারায় মামলা করা হয়েছে এর ফলে যে কোন সময় হাসিনাকে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে। তাই আগাম ভারত সরকারকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চাইল। এখন দেখার বিষয় হাসিনাকে সত্যিই ভারত সরকার বাংলাদেশের দাবি মত ফেরত দেয় কিনা।

