প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অযোগ্যদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, দাবি সিবিআইয়ের
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বেশ কয়েকজন অযোগ্যের নাম সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে দাবি করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে টেট দুর্নীতির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে বেশ কিছু নথি থেকে।
গত জুন মাসে বিকাশ ভবনে টানা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তল্লাশি শেষে বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র উদ্ধার করে তারা। উদ্ধার হওয়া নথিতে ছিল প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার (টেট) প্রার্থীদের তালিকা। সিবিআইয়ের দাবি ছিল, ওই তালিকাভুক্তদের অনেকেই ‘অযোগ্য’! তবে সে সময় টেট দুর্নীতির সঙ্গে পার্থের যোগের কথা জানায়নি সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সূত্রে খবর, বিকাশ ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে পার্থ ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক আমলাকে। সেই তালিকা থেকে কয়েক জনের চাকরিও হয়। এ ছাড়াও, সিবিআইয়ের বাজেয়াপ্ত নথিতে প্রভাবশালী কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। সেই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেই নথিতে ছিল পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাশ ভবন থেকে বাজেয়াপ্ত করা নথি যাচাই করে উঠে এসেছে পার্থের নাম। গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গতকাল মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।