কলকাতা 

মেডিকেল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি দাওয়া সবটাই মানা হবে বলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে তাদের সব দাবি মানতে একটু সময় লাগতে পারে বলে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন।সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্যের আইনজীবী সমস্ত কাজ করতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে এই ‘‌থ্রেট কালচার’‌–এর প্রসঙ্গ উঠেছিল। তার পরই এই তদন্ত কমিটি গড়ল স্বাস্থ্যভবন।

এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশেষ করে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এই কমিটি। তাঁরা হলেন—রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করবী বড়াল, ওই কলেজের প্রাক্তন ডিন স্বরূপ সাহা এবং কৌশিক কর। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ অক্টোবর তারিখের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যভবন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—স্বাস্থ্যভবনের চেয়ারপার্সন আইএএস সুদেষ্ণা গুপ্ত, এনআরএস হাসপাতালের অধ্যক্ষ পিতবরণ চক্রবর্তী, ডায়মন্ডহারবার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উৎপল দান, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শর্মিলা মালিক এবং পিএসসি আরামবাগের অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায়।

Advertisement

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ‘‌থ্রেট কালচার’‌ সামনে আসতে শুরু করে। যা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার সরব হয়েছেন। একাধিক মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়টি নিয়েও সমাধান চান জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজনের নাম ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাদের মধ্যে পরিচিত দুটি নাম হল, বিরূপাক্ষ এবং অভীক। তাঁদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তেমন তদন্তও শুরু হয়েছে।

তবে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এই থ্রেট কালচারের পিছনে বড় কোনও মাথা থাকতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট বারবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তার ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসছে। এবার তো সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। দুর্গাপুজোর পর পরবর্তী শুনানি হবে। তাই সমস্ত সরকারি হাসপাতালে রাজ্য সরকার সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু করেছে।

 

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ