কলকাতা 

ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান কোন দিকে যাচ্ছে,তা বুঝতে হবে শিক্ষককে

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদন : আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে তাতে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন আচরণ ও জীবনশৈলী। খুব স্বাভাবিকভাবেই তার প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গনে। ছাপ পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। সামাজিক ধারার এই পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে একজন শিক্ষককে তবেই তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মন বুঝতে পারবেন এবং তাদের জন্য জীবন পথের সঠিক দিশা দিতে পারবেন।

মূলত বিদ্যালয় স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য গত রবিবার অনুসন্ধান কলকাতা আয়োজন করেছিল অনলাইনে এক আলোচনা চক্র। বিষয় ছিল – ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা নির্ণয় ও তার উন্নয়ন।

Advertisement

এদিনের আলোচনা শুরু হয় বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খানের বক্তৃতা দিয়ে। আলোচনার সুর বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে পড়াশোনা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের দিকে তাকিয়ে হতে হবে। যেভাবে পরিবর্তন ঘটছে গোটা পৃথিবীতে, সেই পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হবে না আমাদের ছাত্র সমাজ, তা হতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষককেই নিতে হবে সেই দায়িত্ব যাতে তাঁর তত্ত্বাবধানে ছাত্র চৌকস হয়ে উঠতে পারে, আগামী দিনের চাহিদা অনুযায়ী নিজেকে উপযুক্ত করে তুলতে পারে। এরপর একে একে বলেন বিশিষ্ট গুণীজনেরা। বলেন শিক্ষাবিদ ডক্টর শামসুল আলম, প্রকৌশলী প্রশান্ত ভট্টাচার্য, শিক্ষা প্রশাসক ডঃ পারিজাত দে, বিজ্ঞানী ডঃ অশোক কান্তি সান্যাল, অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা আরফান আলী বিশ্বাস, এবং পাঠভবন সোসাইটির সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষা চিন্তক বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত।

তাঁরা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষকদের দরদী হতে হবে, এই পেশাটা এমন ই। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিকাশের সুযোগ, কর্মসংস্থানের সুযোগ কোন দিকে, কেমন ভাবে আসছে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া একজন শিক্ষকের বড় দায়িত্ব। তবেই তিনি পথ দেখাতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীদের। আজ বিজ্ঞান প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রভাব পড়ছে সর্বত্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি পাল্টে দিচ্ছে শিক্ষা পদ্ধতির গতানুগতিক ধারণা। আগামী দিন দখল নিতে চলেছে সাইবার সিকিউরিটি, ইন্টার পার্সোনাল স্কিল, ক্লাইমেট ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যান মেশিন টিউনিং ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। আমাদের থেমে থাকলে চলবে না, ভবিষ্যতের রূপরেখার সন্ধান দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদেরই। তার জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। আজকের এই আলোচনা নিশ্চিত ভাবে সেই প্রস্তুতিতে উৎসাহ জোগাবে।

এদিনের আলোচনাচক্রে অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষা সংগঠক খাদেমুল ইসলাম, জহরলাল নাইয়া, মিতালী মুখার্জী, রাসনাউল আলম, নাজিম মল্লিক সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ওর শিক্ষাপ্রেমীরা। সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরখেল। অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন পান্থ মল্লিক ও নায়ীমুল হক। শিক্ষকদের নিয়ে বৃহত্তর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষতা নির্ণয় ও তার উন্নয়ন শীর্ষক আগামী দু মাসের কয়েকটি কর্মসূচির কথা এদিন তাঁরা ঘোষণা করেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ