সকালে বিরুপাক্ষ, দুপুরে অভিক, সিজিও কমপ্লেক্সে মুখোমুখি দুজনে
বাংলার জনরব ডেস্ক : সিবিআইয়ের ডাক পেয়ে শনিবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভীক। এদের দুজনকেই ডাকা হয়েছে আরজিকর মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তের জন্য। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিরূপাক্ষ এবং অভীককে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। সে কারণেই ‘থ্রেট কালচার’-এ নাম জড়ানো দুই চিকিৎসককে একই দিনে তলব করা হয়েছে সিবিআই দফতরে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি ছিল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করতে হবে।
আরজি করে আর্থিক অনিয়ম মামলায় সিবিআইয়ের হাতে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরেই অভীকদের ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। মুখ খুলতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। স্বাস্থ্য ভবনও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। আরজি কর-কাণ্ডের আবহে সমাজমাধ্যমে একটি অডিয়ো ভাইরাল হয় । সেই অডিয়োর সূত্র ধরেই উঠে আসে চিকিৎসক বিরূপাক্ষের নাম। দাবি করা হয়, ওই অডিয়োর কণ্ঠস্বর বিরূপাক্ষের। বিরূপাক্ষকে সেই অডিয়োয় ‘হুমকি’ দিতে শোনা যায়। অভিযোগ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চলত বিরূপাক্ষের ‘দাদাগিরি’। তিনি হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ। বিরূপাক্ষ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র উঠতি নেতা অভীকের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম নেই। চিকিৎসক মহলের একাংশের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা স্তরের হাসপাতালে ‘সিন্ডিকেট’ পরিচালনা করতেন অভীকেরা। এমনকি, আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে অভীকের উপস্থিতি নিয়েও একাধিক অভিযোগ ওঠে। সেই সব বিষয় নিয়েই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। তথ্যসূত্র ডিজিটাল আনন্দবাজার।