দেশ 

গণধর্ষণের শিকার রাম মন্দিরের সাফাই কর্মী, গ্রেফতার ৮

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদী এবং যোগীর রাজ্যে এবং রাম মন্দিরের একসেবিকাও ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেল না। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার রাম মন্দিরের এক মহিলা সাফাই কর্মীকে চাকরি দেওয়ার নাম করে দুইদিন ধরে গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করল বেশ কয়েকজন যুবক। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ এখনো পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সাফাইকর্মী ওই তরুণী স্থানীয় এক কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাকে অন্যত্র ‘ভাল কাজ’ দেওয়ার নাম কয়ে একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়েছিল ধৃতেরা। তার পর দু’দিন ধরে আটকে রেখে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তেরা সকলেই অযোধ্যার বাসিন্দা। অভিযুক্তেরা খুনের হুমকি দেওয়ায় প্রাণের ভয়ে এক মাস আগের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি এত দিন অভিযোগ জানাননি বলে নির্যাতিতার দাবি।

Advertisement

নির্যাতিতা তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে বনবীরপুর এলাকার ওই গেস্ট হাউসে ১৬ অগস্ট নিয়ে গিয়েছিল বংশ চৌধরি নামে এক অভিযুক্ত। দু’দিন ধরে আটকে রেখে অত্যাচারের শিকার হওয়ার পরে ১৮ অগস্ট কোনও মতে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি। এর পরে ২৫ অগস্ট বংশ এবং তার বন্ধু উদিত কুমার, শতরাম চৌধরি-সহ পাঁচ জন একটি গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করে। বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির তরফে বলা হয়েছে, ‘‘যোগী আমলে রামরাজ্যের কী হাল হয়েছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।’’

প্রশ্ন উঠেছে রাম মন্দিরের মধ্যেই যদি নারীর নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয় তাহলে কোথায় নিরাপত্তা পাবে? যোগীরাজ্যে হিন্দু মেয়েরা যদি ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা না পায় তাহলে এরকম হিন্দু নেতাদের রেখে লাভ কি? মোদিজীর সাধের বিজেপি এবং আরএসএস যদি রাম মন্দিরের সাফাই কর্মী নিরাপত্তা দিতে না পারেন দেশের মানুষকে কিভাবে নিরাপত্তা দেবেন?


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ