জেলা 

সন্দেশখালির গণবিদ্রোহের নেপথ্যে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের শোষিত মানুষেরা! আই এস এফ নেত্রী আয়েশা বিবির গ্রেফতারিতে এটাই প্রমাণিত?

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : সন্দেশখালির গণবিদ্রোহ প্রকৃতপক্ষে মানুষের বিদ্রোহ বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের বিদ্রোহ নয় তার প্রমাণ মিলল শনিবার রাতে আইএসএফ নেত্রী আয়েশা বিবির গ্রেফতারিতে। এতদিন ধরে তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে এবং বিজেপির নেতারা যেভাবে সন্দেশখালিকে নিয়ে নতুন একটি বাইনারি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল তা কার্যত ব্যর্থ বলেই মনে হল। তৃণমূল বিজেপির এই নতুন বাইনারি নিজেরাই ভেঙে দিলেন কারণ আয়েশা বিবিকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে শাসক দল প্রমাণ করলো সন্দেশখালির অশান্তির নেপথ্যে শুধু বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ ছিল না হিন্দু-মুসলমান সহ আপামার বঞ্চিত অবহেলিত শোষিত মানুষদের বিদ্রোহ ছিল সন্দেশখালি।

সুতরাং সন্দেশখালি নিয়ে যেভাবে বিজেপি শাজাহান শেখকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে নতুন একটি পারসেপশন তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বা করছিল তা পুরোপুরি ব্যর্থ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আসলে শাজাহান শেখের অত্যাচারে প্রকৃতপক্ষে এলাকার গরিব মানুষরা বঞ্চিত শোষিত হয়েছে এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর এই আন্দোলন তাই শোষিত মানুষের আন্দোলন বঞ্চিত মানুষের আন্দোলন। আর এই আন্দোলন যে মানুষের আন্দোলন সেটা প্রমাণ করে দিল স্বয়ং পুলিশ নিজেই।

Advertisement

শনিবার রাতে মিনাখাঁ থেকে আয়েশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা। রবিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ।

এর আগে সন্দেশখালিতে গোলমালের অভিযোগে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরা। কিন্তু এখনও অধরা শাহজাহান শেখ। একই সঙ্গে বেপাত্তা তাঁর ভাই সিরাজুদ্দিন ওরফে সিরাজ ডাক্তারও। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালিতে গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আইএসএফ নেত্রী। চলতি মাসে সন্দেশখালিতে একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেশখালির গ্রামবাসীদের প্ররোচনা দিয়ে বিক্ষোভ করানোর অভিযোগ এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আয়েশাকে।

রবিবার সকালে ধর্মতলার একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে বেরিয়ে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেয় একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলে সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এই দলে রয়েছেন এক প্রাক্তন বিচারপতি এবং বিভিন্ন রাজ্যের আমলারা।

আইএসএফ নেত্রী আয়েশা বিবির গ্রেফতারের পর এবার সামনে আসতে শুরু করেছে সাধারন মানুষের কাহিনী। এখানকার আন্দোলন প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষের আন্দোলন এটা যে বিজেপির আন্দোলন নয়, সেটা এই ঘটনায় প্রমাণিত হলো। এখন দেখার বিষয় আইএসএফ এবং সিপিএম দল কিভাবে এই ঘটনার মোকাবিলা করে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ