ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা, বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে সময় চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলার জনরব ডেস্ক : ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর সম্ভবত দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সময় তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গেছে। তিনি ১৮,১৯,২০ ডিসেম্বর এই তিন দিন দিল্লিতে থাকবেন। এই সফরের সময় তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবি নিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর সফরকালে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের সম্ভাবনা উসকে তিনি আরও জানান, সেইসময় দিল্লিতে একটি বৈঠকও রয়েছে।
এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গত পরশু প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। ১৮, ১৯, ২০- এই ৩ দিনের যে কোনও একটা সময় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের কথা বলেছি। কিছু সাংসদ নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাই। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা এখনও পর্যন্ত পাইনি, বাংলার বাড়ি এবং গ্রামীণ রাস্তা এবং হেলথের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার প্রাপ্য টাকা যেটা জিএসটি তুলে নিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের ভাগের টাকা আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। একমাত্র বাংলার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা কোনও স্কিম বন্ধ করিনি। বাংলার প্রাপ্য সেই টাকাগুলো যেন বাংলা পায়, কারণ বাংলা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিএসটি। সেখান থেকে আমাদের ভাগেরটা আমরা পাচ্ছি না।”
তারপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “সেজন্য আমি ১৮, ১৯, ২০- এই ৩ দিনের মধ্যে যে কোনও একটা সময় ডেট চেয়েছি। যদি সময় দেয় ভালো। নাহলে আমি তো ১৭ তারিখ দিল্লি যাচ্ছি।” সবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, “আমাদের একটা বৈঠকও রয়েছে।” যা থেকেই উসকে উঠেছে বকেয়া আদায়ের দাবিতে মমতার সফরকালেই দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক সম্ভাবনা। প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের মেগা বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লিতে বড়সড় আন্দোলন গড়ে তুলবে তৃণমূল। তিনি নিজে সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
পাশাপাশি, ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ৩ রাজ্যেই ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের। ভোটে হারের পর তড়িঘড়ি ৬ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় সেই বৈঠকে যোগ দিতে না পারার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বৈঠকের কোনও আমন্ত্রণই তাঁকে জানানো হয়নি বলে জানান ক্ষুণ্ণ মমতা। পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন নীতিশ কুমারও। বৈঠকে আসছেন না বলে জানান অখিলেশও। ওদিকে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বন্যার জেরে বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না বলে জানান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন।