আউশগ্রামের গুলিবিদ্ধ সিপিএম সমর্থকের মৃত্যু এনআরএসে, আর কত রাজিবুলের মৃত্যু হলে মমতা প্রশাসন সক্রিয় হবে জানতে চায় বাংলা!
বাংলার জনরব ডেস্ক : গতকাল শুক্রবার ভোট কর্মীরা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এক বুথে পৌছানোর পর তাদেরকে সুষ্ঠ ও অবাধ ভোট করানোর অনুরোধ জানাতে গিয়েছিলেন সিপিএমের সমর্থক রাজিবুল হক । এরপরেই তার উপর হামলা করে শাসকদলের কর্মীরা বলে অভিযোগ । গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাজিবুলকে এনআরএস হাসপাতালে শুক্রবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে আনা হয় । শনিবার সকালে ওই সিপিএম সমর্থকের মৃত্যু হয় । ঘটন
জানা গেছে, শুক্রবার আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকেরর প্রাথমিক বিদ্যাল বিষ্ণুপুয়ের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল সিপিএম সংঘর্ষে রাজিবুল জখম হয়েছিলেন। প্রথমে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে গভীর রাতে তাঁকে এনআরএসে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
শুক্রবারের অশান্তির পর শনিবারও থমথমে ছিল বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রটি। এখানে মোট তিনটি বুথ। ৭, ৭এ এবং ৮। শুক্রবার বুথে ভোটকর্মীরা ঢোকার পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে অশান্তি বাধে। লাঠিসোঁটা নিয়ে দু’পক্ষই একে অপরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হন। পরে আউশগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভোরে এখানে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। শনিবার দেখা যায় সকাল থেকে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভোটারেরা। সক্রিয় রয়েছেন তৃণমূল এবং সিপিএম— উভয় দলের সমর্থকেরাই।
রাজিবুলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা চার ভাই। রাজিবুল নিজে গ্রামে থাকতেন না। মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। উৎসব বা পরবে তিনি গ্রামে ফিরতেন বলে জানান তাঁর পরিবারের লোকজন। রাজিবুলের দুই ছেলে। সেখ রাহান বড়, বয়স ১০ বছর। আর ছোট ছেলে আয়ুশের বছর সাড়ে তিন বছর। এ ছাড়াও পরিবারে স্ত্রী আনারকলি, মা আনিশা বিবি ও বাবা সেখ মোজাম্মেল রয়েছেন।রাজিবুলের বাড়ি বিষ্ণুপুর গ্রামের ডাঙাপাড়ায়।