দেশ 

রাহুল গান্ধীকে দু বছরের জেলের সাজা শোনানো বিচারকের আইন ভেঙ্গে পদোন্নতি স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দু বছরের সাজা দিয়েছিলেন যেই বিচারক সেই বিচারকের পদোন্নতি বেআইনিভাবে করা হয়েছে এই অভিযোগ পাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সেই পদোন্নতির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

বিচারপতি এমআর শাহ এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ শুক্রবার সেই পদোন্নতিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।বিচারক বর্মার পাশাপাশি আরও ৬৭ জন বিচারককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের বিজেপি সরকার ২০০৫ সালের ‘গুজরাত স্টেট জুডিশিয়াল সার্ভিস রুল’ ভেঙে পদোন্নতি দিয়েছে বলেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে শুক্রবার। সবগুলি বদলির উপরেই জারি হয়েছে স্থগিতাদেশ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘‘পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবশ্যই অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতার মাপকাঠির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।’’

Advertisement

মোদী পদবি মামলায় গত ২৩ মার্চ ‘অপরাধমূলক মানহানি’র অভিযোগে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক বর্মা। ২ বছর জেলের সাজাও দিয়েছিলেন (ঠিক এই মেয়াদের সাজা দিলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে কোনও সাংসদ বা বিধায়কের পদ খারিজ হয়)। তার দেড় মাসের মধ্যেই কেন গুজরাতের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বর্মার পদোন্নতি হল, সুপ্রিম কোর্টে সে প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাতেরই দুই সিনিয়র বিচারক। শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১০ বছর নিম্ন আদালতে বিচারকের পদে থাকা ৪৩ বছরের বর্মা সম্প্রতি রাজকোটের দায়রা আদালতে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। বিচারক বর্মা-সহ গুজরাতের মোট ৬৮ জন বিচারকের পদোন্নতির নির্দেশিকা জারি হয় চলতি মাসেই। সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, গুজরাতের দুই সিনিয়র সিভিল জজ— রবিকুমার মেহতা এবং সচিন প্রতাপরায় মেহতা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, নিয়ম ভেঙে পদোন্নতি হয়েছে বিচারক বর্মা-সহ ৬৮ জনের। শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেই অভিযোগের সারবত্তা মেনে নিয়েছে।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ