কলকাতা 

ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার প্রশিক্ষণরত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নিউটাউনে স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির ইফতার মজলিশ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিবেদন : পবিত্র রমজান মাস যেমন কঠিন আত্মসংযমের মাস, তেমন-ই সম্প্রীতিরও মাস। প্রচন্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে যাঁরা রোজা করছেন তাঁদের দেখলেই বোঝা যায় আত্মসংযম-এর বাস্তব নমুনা। আবার এরই মাঝে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার মন্ত্র-ও যে বেঁধে দেওয়া যায়, তা ফুটে উঠেছিল রবিবার কলকাতার নিউটাউনে স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমি আয়োজিত ইফতারের অনুষ্ঠানে।

ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার প্রশিক্ষণ যারা দেয় রাজ্যের মধ্যে তাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠান স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমি। ডাক্তার হওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মানুষের মতো মানুষ হওয়ার ব্রত নিয়ে জীবনের লক্ষ্য গড়ার শিক্ষা দেওয়া হয় এখানে।

Advertisement

Advertisement:

স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির প্রধান কার্যালয়ে এ দিন সকল ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ইফতার মজলিশ। তাদের উৎসাহ জোগাতে স্যান্ডফোর্ড কর্তৃপক্ষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের। সেখানে ছিলেন শিক্ষক, কাউন্সেলর, শিক্ষা সংগঠক, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির গুণীজনেরা। ছিল কিশোরমোতি ছাত্র-ছাত্রীরাও।

ইফতারের নানাবিধ আয়োজন – সরবত, ফল-ফলাদি, মিষ্টান্ন, কাবাব, পরোটা, হালিম ইত্যাদি সামনে রেখে ইফতারে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের আসন্ন নিট পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য হাত তোলেন সকলে আপন প্রভুর নিকট। ছোট ছোট হাতও তাতে সামিল হল।

ইফতার পরবর্তী আলোচনায় স্যান্ডফোর্ড অ্যাকাডেমির কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অ্যাকাডেমির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শেখ জসীমউদ্দীন মন্ডল বলেন, আমাদের আপাত মূল লক্ষ্য নিট পরীক্ষায় সাফল্য, এটা ঠিক। তবে মূল লক্ষ্য হল, মানুষের মতো মানুষ গড়া। তাই শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের স্লোগান, চাই মানুষ গড়ার শিক্ষা। সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে আমাদের অভিযানে সামিল হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর গুণীজনেরা। সকলকে নিয়ে আমরা এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আপ্রাণ চেষ্টা করব, এটা সমাজের নিকট আমাদের প্রতিশ্রুতি।

এদিনের ইফতারের এই আয়োজনে অংশ নিয়ে অত্যন্ত খুশি বিশিষ্ট শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরখেল। ইফতারের আগে লেখাপড়ার জন্য বিশেষ করে নিট পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য এমন করে প্রভুর নিকট প্রার্থনা জানানোর রীতি, তাঁর কাছে অভূতপূর্ব মনে হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রীতির যে বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল এদিনের আয়োজনে, তা আগামী সমাজকে পথ দেখাবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই শিক্ষক।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ