দেশ 

কার্যত রাহুলের দাবিতেই সিলমোহর দিল সেবি,তিনটি অনথিভুক্ত সংস্থার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর লেনদেন বেশ সন্দেহজনক! দাবি করল SEBI

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: রাহুল গান্ধী প্রকাশ্যে এতদিন ধরে যা বলে আসছিলেন তাতেই কার্যত ও সীলমোহর দিল সেবি। আদানি গোষ্ঠীর সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য নিয়ে এসেছিল হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট। এবার সেবি সেই তথ্যে সীলমোহর দিল কার্যত।সেবির তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ১৩ বছরে তিনটি অনথিভুক্ত সংস্থার সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর লেনদেন বেশ সন্দেহজনক। এই লেনদেনগুলি নিয়মবিরুদ্ধও হতে পারে।

যদিও এই পুরো বিষয়টিতে কাঠগড়ায় মূলত গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি (Vinod Adani)। সূত্রের খবর, বিদেশে বিনোদ আদানির তিনটি অনথিভুক্ত অর্থাৎ শেল কোম্পানি রয়েছে। এই তিনটি সংস্থার মধ্যে ক্রুণাল ইনভেস্টমেন্ট, গার্ডেনিয়া ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট নামের সংস্থাদুটি মরিশাস স্থিত। ইলেক্ট্রোজেন ইনফ্রা নামের একটি সংস্থা দুবাই স্থিত। সেবি সূত্রের খবর, এই তিনটি সংস্থার সঙ্গে গত ১৩ বছর ধরে আদানির একাধিক সংস্থার লেনদেন চলছে।

Advertisement

সেবির (SEBI) দাবি, সরাসরি যুক্ত না হলেও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই তিনটি সংস্থার সঙ্গেই জড়িত গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানি। এগুলি মূলত তাঁরই অনথিভুক্ত সংস্থা। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বিনোদ যেহেতু আদানি পরিবারের সদস্য, ফলে এই পদক্ষেপকে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত সংস্থার মধ্যে লেনদেন হিসেবে ধরার কথা সেবি আইনে। যা বেআইনি। ইতিমধ্যেই বিনোদের সংস্থা এবং গৌতমের (Gautam Adani) সংস্থার মধ্যে এই লেনদেন ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। যদিও আদানি গোষ্ঠীর তরফে এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এদিকে এই সংস্থায় এলআইসির (LIC) বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। শুধু এলআইসি নয়, আদানি গোষ্ঠির শেয়ার বিনিয়োগের তালিকায় রয়েছে ইপিএফও (EPFO)। আদানি গ্রুপ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর মনে করা হচ্ছিল আদানির শেয়ারে নতুন করে বিনিয়োগ করবে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ( Adani Enterprises) ও আদানি পোর্টসে (Adani Ports) বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২৩-এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং দীর্ঘদিন ধরে আধুনিক গোষ্ঠীকে এইভাবে সরকারি সংস্থার শেয়ারবাজারে লগ্নির সমালোচনা করে আসছে। অন্যদিকে হিন্ডেনবার্গ যে কথাটি বারবার বলে আসছিল আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার ঘুর পথে আদানির দাদা কিনেছেন তাতেই সিলমোহর দিল সেবি। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে বলা হয়েছিল এটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। সেবিও বলল এটা সম্পূর্ণভাবে সেবির আইন বিরুদ্ধ। তাহলে এতদিন ধরে যারা হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে চালাচ্ছিলেন তারা সেবির রিপোর্ট আসার পর কি বলবেন ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ