Kaustav Bagchi: গ্রেফতার কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি ! রাস্তায় নামছে বাম কংগ্রেস
বাংলার জনরব ডেস্ক : সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি। আর এই আক্রমণের জেরেই গ্রেফতার হলেন কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি।
শনিবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বিশাল পুলিশবাহিনী কৌস্তভ বাগচির বারাকপুরের বাড়িতে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস নেতা। এরপর তাঁর বাড়িতে চলে জোর তল্লাশি। শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। বর্তমানে তাঁকে বড়তলা থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০(বি), ১৫৩, ৩৫৪(এ), ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু করেছে। এদিকে, দলীয় নেতার গ্রেফতারির খবর পাওয়ামাত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা বড়তলা থানার সামনে ভিড় জমান। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
গ্রেফতারি কারণ নিয়ে কৌস্তভের দাবি, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই পালটা জবাব দেন কৌস্তভ। সে কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলেই দাবি কৌস্তভের। ছেলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলেই দাবি কৌস্তভের বাবা কুশল বাগচির।
আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। পুলিশি ধরপাকড়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন চৌধুরীর প্রতিক্রিয়াও প্রায় একইরকম। তাঁর মতে, এ রাজ্যে যে কারও স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার নেই, তা স্পষ্ট। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন অবশ্য পুলিশের এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং সঠিক পদক্ষেপ বলেই উল্লেখ করেছেন।