কলকাতা 

ISF Leader Nawshad Siddiqui: খারিজ জামিনের আবেদন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৮ জন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি: আজ বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি জামিন পেলেন না বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জেল হেফাজতে থাকবেন।  এদিন নগর দায়রা আদালত অর্থাৎ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৮ জনকে তোলা হলে সেখানে সরকার পক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন আরো কয়েক দিনের জন্য নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হোক।

নওশাদ সিদ্দিকীর আইনজীবীরা দাবি করেন নওশাদ সিদ্দিকী সহ আই এস এফ কর্মী নেতারা এমন কোন অপরাধ করেননি যাতে তাদের জেল হেফাজত বা পুলিশ হেফাজতে দিতে হবে অবিলম্বে তাদের জামিন দেওয়া হোক। দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে বিচারক নওশাদ সিদ্দিকী সহ তাঁর দলের নেতা কর্মীদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠান। যদিও এটা স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া বলা হচ্ছে কারণ যেভাবে নওশাদ সিদ্দিকী সহ তাঁর দলের কর্মী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে তাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এখনই জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

Advertisement

তবে সরকার পক্ষের সদ ইচ্ছা থাকলে মামলা হালকা করা যেত, তা করা হয়নি। ফলে আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গের মুসলিম ভোটের উপর যে তৃণমূল কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে আগামী দিনে অনুশোচনা করতে হবে। কারণ একথা স্বীকার করতেই হবে পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি নিঃসন্দেহে দক্ষিণবঙ্গে প্রভাব পড়বেই। নওশাদ সিদ্দিকীর মত একজন ভালো মানের বিধায়ককে জেলে পাঠিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে যে খুব একটা শুভ বার্তা দেয়া হয়েছে তা নয় তবে হয়তো এ রাজ্যে বিজেপি আসার পথকে সুগম করার জন্যই এ কাজটা করা হচ্ছে বলে বিশেষ বিশেষ মহল মনে করছে।

গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে নওশাদ-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তাকে জুভেনাইল কোর্টে হাজির করানো হলে সেই দিনই তার জামিন হয়ে যায়। বাকি ১৮ জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ বার তাঁদের জেল হেফাজত হল।

ঘটনার দিন অর্থাৎ, ২১ জানুয়ারি শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতায় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। ওই দিন বিকেলে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার রাজপথে।

পুলিশের দাবি, শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকায় অফিসের সময়ে অবস্থান তুলে নিতে বলা হয়। কিন্তু আইএসএফের কর্মীরা তা অগ্রাহ্য করেই অবস্থান চালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের তুলতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। বাঁশ, লাঠি নিয়ে চড়াও হন আইএসএফ কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আহত হন অনেক পুলিশকর্মী। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এর ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধর্মতলায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার পর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হয় নওশাদদের বিরুদ্ধে। তার পরেই পুলিশের গ্রেফতার, পুলিশি হেফাজত এবং অবশেষে জেল হেফাজত হল তাঁদের।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ