জেলা 

মহান সুফি সাধক ‘বড়ো হুযুর পাক’-এর প্রথম বার্ষিক উরস শরীফ পালিত

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বিশেষ প্রতিনিধি: আজ ৩০ শে শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ‘বড়ো হুযুর পাক’ – নামে খ্যাত মহান সুফি সাধক হযরত সৈয়দ শাহ রশীদ আলী আল-কাদেরী আল-হাসানী আল-হুসায়নী আল-বাগদাদী(আঃ) পাকের ১ম বার্ষিক উরস শরীফ পালিত হচ্ছে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদ, তৎ-সংলগ্ন মাযার শরীফ ও দায়রা পাকে।

তিনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ(সঃ) পাকের ৩৫ তম এবং একইসঙ্গে কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড়ো পীর সাহেব’ হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (আঃ) পাকের ২২ তম বংশধর।

Advertisement

গত বছর ৬ই মুহাররম, ইংরেজি ১৬ই আগস্ট এবং বাংলা ৩০শে শ্রাবণ তাঁর ‘বেসালে হক’ হয়েছিল তাঁর বাসস্থান কলকাতার ৪ নং হাজী মুহাম্মদ মহসিন স্কোয়ারে। তাঁর মাযার শরীফ নির্মিত হয়েছে মেদিনীপুরে জোড়া মসজিদে তাঁদের পারিবারিক মাযার শরীফ প্রাঙ্গণে।

‘বড়ো হুযুর পাকের’ ভক্ত ও শিষ্য সারা বিশ্বেই রয়েছেন। তাঁর প্রপিতামহ ‘মওলা পাকের’ ৪ ই ফাল্গুনের উরস পাকে যেমন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পুণ্যার্থী মেদিনীপুরে আসেন, এমনকী স্পেশ্যাল ট্রেন এবং রিজার্ভ বাসও আসে, তেমনই এই উরস পাকেও বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি রিজার্ভ বাস এসেছে, এছাড়াও বিভিন্ন রুটে আরও অনেক পুণ্যার্থী এসেছেন। বীরভূম, বর্ধমান সহ পশিমবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলা থেকে রিজার্ভ বাস, ট্রেন ও বিভিন্ন উপায়ে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের ঢল নেমেছে এই উরস পাকে। ‘বড়ো হুযুর পাকের’ – বর্তমান স্থলাভিষিক্ত উত্তরাধিকারী সাজ্জাদানশীন হুযুর পাক হযরত সৈয়দ শাহ ইয়াসুব আলী আল-কাদেরী আল-বাগদাদী পাকের পরিচালনায় এই উরস পাক মেদিনীপুর ছাড়াও ভারত ও বাংলাদেশের সমস্ত কাদেরিয়া খানকাহ শরীফে ও মসজিদ পাকে পালিত হচ্ছে।

‘বড়ো হুযুর পাক’ ছিলেন রসুল পাকের ‘আহলেবায়েত’। তাঁর দরবারে উচ্চ-নীচ, গরীব-বড়লোক কোন ভেদাভেদ ছিলনা। রহমত ও মানব-কল্যাণের একই ধারা চলে আসছে। যমানার অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম হয়েও তিনি প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে ভালোবাসতেন। দুনিয়ায় থেকেও তিনি দুনিয়ার প্রতি সম্পূর্ণ উদাসীন ছিলেন। তাঁর প্রপিতামহ ‘মওলা পাকের’ মতোই তিনি কঠোর সাধনা ও কৃচ্ছসাধনার মধ্যে দিয়ে সারা জীবন অতিবাহিত করেন।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ