দেশ 

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংসদ শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন!

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস এক আজব দল। ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র দল যে দলের আস্ত একটা জেলা সভাপতি হতে পারেন অন্য দলের বিধায়কও। দল বদলের মধ্যে কোন খারাপ দিক নেই। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অন্য দলের বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় থাকা সত্ত্বেও তিনি কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মত একটা শাসকদলের জেলা সভাপতি হতে পারেন। এটা যেমন সম্ভব হয়েছে একই রকম ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তারা কোন পক্ষকে সমর্থন করবেন না। বিরোধী দলের প্রার্থী মার্গারেট আলফা কে যেমন তারা ভোট দেবেন না একইভাবে NDA এর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকেও তারা ভোট দেবেন না।

বড় করে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করার পর কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলে ডিজিটাল আনন্দবাজার খবর করেছে। বারবার দলের শৃঙ্খলা ভাঙার পরেও কোন অধিকারে এখনো পর্যন্ত শিশির এবং দিব্যেন্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাখা হয়েছে সেটা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বোধগম্য হচ্ছে না। আসলে মুকুল রায়ের ভাষায় তৃণমূল মানে বিজেপি বিজেপি মানে তৃণমূল। সেই কথাটার বাস্তবায়ন করে চলেছেন শিশির ও তার পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী।

Advertisement

এদিকে,অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের কোনও হুইপ থাকে না। এই দু’টি পদ দেশের সর্বোচ্চ পদ। সেই ভোটে জনপ্রতিনিধিরা কেন ভোট দিতে পারবেন না? ওই সূত্রের মতে, দলনেত্রী দিল্লিতে, শিশির, দিব্যেন্দুও দিল্লিতে। শুক্রবার সাংসদদের দলীয় নৈশভোজে শিশির, দিব্যেন্দুকে ডাকা হয়নি। ডাকা হলে তাঁরা নিশ্চয়ই জেতেন। ওই সূত্রের দাবি, এক দিকে দল শিশির-দিব্যেন্দুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে, অন্য দিকে দল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে, ভোটদান থেকে তাঁদের বিরত থাকতে হবে! এ দুটো একসঙ্গে যায়! শিশির যদিও সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘আমি এখন বারাণসীতে রয়েছি। ভোট দিয়েছি কি দিইনি তাতে কার কী! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে দু’জন প্রার্থী তাঁরা উভয়েই আমার ঘনিষ্ঠ। তবে ভোট দিলাম কি দিলাম না তাতে কারও কিছু যায় আসে না।’’ আর দিব্যেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ধারেকাছেও যাইনি। ভোট দেওয়ার প্রশ্নই নেই। এখনও এক ঘণ্টা সময় আছে। ভোট দেব না।’’ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই দিল্লিতেই রয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ অধিকারী পিতা-পুত্র।

এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও শিশির ও দিব্যেন্দুকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের নির্দেশ ছিল সব সাংসদ কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ বিধানভায় এসে ভোট দেবেন। কিন্তু শিশির ও দিব্যেন্দু ভোট দিতে যান দিল্লিতে। সংসদ ভবনে ভোটদানের পরে তাঁরা জানান, কলকাতায় ভোট দিতে হলে আগে থাকতে ব্যালট পাঠাতে বলতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। সেটা বলতে ভুলে যাওয়ার কারণেই দিল্লিতে ভোট দিতে হল। সেই সময়ে শিশির অবশ্য দলের সঙ্গে তাঁর খারাপ সম্পর্ক নিয়েও সরব হয়েছিলেন।

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ